সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:০২ অপরাহ্ন

ভৈরবে সজীব হত্যা মামলার তদন্ত নিয়ে গড়িমসির অভিযোগ

ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি:: কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ট্রাকচালক সজীব হত্যার ঘটনায় তদন্তকারী কর্মকর্তা অসহযোগিতা করায় বাদী পক্ষের সংবাদ সম্মেলন।

সোমবার দুপুরে ভৈরব শহরের দুর্জয় মোড়ে সাংবাদিকদের অফিসে এ সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী পরিবার।

এসময় নিহত সজীব মিয়ার বড় ভাই মামলার বাদী কাউসার আহমেদ ও তার স্ত্রী এবং মা আমেনা বেগম অভিযোগ করে বলেন, গত ২১ মে (বুধবার) রাত আনুমানিক ৩টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর ভৈরব প্রান্তে ট্রাকচালক সজীব মিয়াকে ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একদিন পর মারা যায়। এ ঘটনায় ভৈরব থানায় মামলা দায়ে করা হয়। ওই মামলার বাদী হন নিহত সজীব মিয়ার বড় ভাই কাউসার মিয়া। মামলা দায়ের করার আগেই বাদীর সন্দেহ হয় তারই সৎ ভাই ইব্রাহিম মিয়া এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকতে পারে। তখন ভৈরব থানার ইন্সপেক্টর আবু তালেবকে বলার পরও সে অজ্ঞাত আসামি দিয়ে মামলা করতে চাপ দেয়। পরে অজ্ঞাত আসামি দিয়েই মামলা হয়। এঘটনায় আসামি ধরা হয়েছে কিনা জানার জন্য যোগাযোগ করলেও ইন্সপেক্টর আবু তালেব তাদেরকে কোন কিছু জানতে আগ্রহ দেখান না। উল্টো হত্যার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহবাজন সজীব মিয়ার সৎ ভাই ইব্রাহিমের সাথেই নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন ওই তদন্তকারী কর্মকর্তা।

পুলিশের সাথে বাদী পক্ষের লোকজন যোগাযোগ করা খবরটি তাৎক্ষণিক সন্দেহবাজন আসামি ইব্রাহিমকে পৌঁছে দিচ্ছেন ইন্সপেক্টর আবু তালেব। থানায় মামলার বিষয়ে কথা বলতে আসলে ইব্রাহিম ও তার বাবা বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে বাদীকে। হত্যার ঘটনাটি সামাজিকভাবে শেষ করারও প্রস্তাব দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।

এদিকে ভুক্তভোগীরা জানান, সন্দেহভাজন ইব্রাহিম মিয়া নিহত সজীব মিয়ার সৎ ভাই। সজীব মিয়া ট্রাকের চালক ও ইব্রাহিম হলো হেলপার। জায়গা সম্পত্তি ও ট্রাক নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ ছিলো আগে থেকেই। এরই জেরে সজীব মিয়ার খুনের সাথে সৎভাই ইব্রাহিম মিয়া জড়িত থাকতে পারে। এ বিষয়টি তদন্ত কর্মকর্তাকে বারবার বলার পরও কোন পাত্তা দিচ্ছেনা ঘটনার শুরু থেকেই। মামলার আগে বাদী পক্ষের অভিযোগগুলো নোট করলেও মামলা থেকে তা বাদ দেয়া হয়েছে বলে বাদী পক্ষ অভিযোগ করেন ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এই মামলাটি পুলিশের কাছ থেকে সরিয়ে পিবিআই কিংবা সিআইডির মাধ্যমে তদন্ত করে প্রকৃত জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কিশোরগঞ্জ পুলিশ সুপারসহ পুলিশের উর্ধতন ব্যক্তিদের কাছে অনুরোধ করেন।

এ ব্যপারে জানতে সাংবাদিকরা ভৈরব থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আবু তালেবকে তার সরকারি নাম্বারে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি। পরে তার হোয়াটসঅ্যাপে ক্ষুদে বার্তা পাঠালেও তিনি কোন সাড়া দেননি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com