মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫, ০৭:৫৬ অপরাহ্ন
ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি:: কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মেঘনা নদীতে বালুভর্তি বাল্কহেডের ধাক্কায় নৌকাডুবির ঘটনার চতুর্থ দিনে নিখোঁজ আরও ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারি দল। এ নিয়ে নিখোঁজ ৮ জনের মরদেহ উদ্ধার হলো।
এর আগে ঘটনার দিন শুক্রবার ১২ জনকে জীবিত ও ১ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিখোঁজ হয় আরও অন্তত ৮ জন। এ নিয়ে নিখোঁজ আটজনের মরদেহ উদ্ধারসহ মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৯ জনে। এদের মধ্যে একজনকে প্রথমে জীবিত উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তির পর মৃত্যু হয়।
সর্বশেষ সোমবার বেলা ১১ টার দিকে ভৈরব বাজার মেঘনা নদীর পাড় ও সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু এলাকা থেকে ভাসমান পুলিশ সদস্য ও তার সন্তানের মরদেহসহ ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধারকৃতরা হলেন- ভৈরব হাইওয়ে থানার পুলিশ সদস্য মো. সোহেল রানা (৩০), তার ছেলে রায়সুল (৬) ও কিশোরগঞ্জের মালিকখালি এলাকার বেলন দে (৪৫)।
গত ২২ মার্চ সন্ধ্যা ৬টার দিকে ভৈরব মেঘনা নদীতে বালুবাহী বল্কহেডের ধাক্কায় ভ্রমণ তরীটি ডুবে যায়। দুর্ঘটনার প্রথম দিন সুবর্ণা বেগম নামে একজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তির পর চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। এর পরদিন শনিবার দুপুরে ৫ ঘণ্টা উদ্ধার অভিযান চালিয়ে দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। তারা হলেন— পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রী মৌসুমি বেগম (২৬) ও শহরের আমলাপাড়া এলাকার মিষ্টি ব্যবসায়ী টুটন দের কন্যা আরাদ্দ দে (১২)।
পরের দিন রবিবার উদ্ধারকৃত মরদেহগুলো হলো— নরসিংদীর বেলাব থানার দড়িকান্দি গ্রামের দারু মিয়ার মেয়ে কলেজশিক্ষার্থী আনিকা আক্তার (১৮), ভৈরব পৌর শহরের আমলাপাড়া এলাকার ঝন্টু দে’র স্ত্রী রুপা দে (৩০) ও নিখোঁজ পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানার মেয়ে মাহমুদা সুলতানা (৭)।
এছাড়া এদিন দুপুরে ডুবে যাওয়া ভ্রমণতরীটি উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের চরসোনারামপুর চরে উঠানো হয়।
এ বিষয়ে ভৈরব নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান জানান, ‘ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সড়ক সেতুর এলাকা ও ভৈরব বাজার মেঘনা ঘাট এলাকায় ভেসে ওঠা পুলিশ সদস্যসহ তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।’