মঙ্গলবার, ০৫ অগাস্ট ২০২৫, ১০:১২ অপরাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:: ভারত যদি রাশিয়া থেকে তেল কেনা অব্যাহত রাখে, তবে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় পণ্যের ওপর অনেক বেশি হারে শুল্ক আরোপ করা হবে বলে হুমকি দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, ‘ভারত বিপুল পরিমাণে রুশ তেল কিনছে এবং সেই তেলের এক বড় অংশ আবার বিশ্ববাজারে বিক্রি করে বড় অঙ্কের লাভ করছে। এ কারণে, আমি যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের পণ্যের ওপর শুল্ক উল্লেখযোগ্য হারে বাড়াবো।’
তবে ভারত এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন অন্যায্যভাবে ভারতকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রন্ধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘রাশিয়ার ইউক্রেন আগ্রাসনের পর ইউরোপে তেল সরবরাহের অভাব দেখা দেয়, তাই ভারত বিকল্প উৎস হিসেবে রুশ তেলের দিকে যেতে বাধ্য হয়। আমাদের এই আমদানি শুধুই ভারতীয় ভোক্তাদের জন্য সাশ্রয়ী ও স্থিতিশীল জ্বালানি নিশ্চিত করতেই।
ভারতের অভিযোগ, আমেরিকা ও ইউরোপ নিজেও রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য করছে।
ভারতের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই প্রেক্ষাপটে কেবল ভারতকে নিশানা করা অযৌক্তিক ও অগ্রহণযোগ্য। জাতীয় স্বার্থ ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা রক্ষায় ভারত প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেবে।
শুল্ক হুমকি কতটা গুরুতর?
গত সপ্তাহে ট্রাম্প হুমকি দেন, ভারতের পণ্যে ন্যূনতম ২৫% শুল্ক বসানো হবে, যা এই সপ্তাহের শেষে কার্যকর হতে পারে। বর্তমানে ভারতীয় পণ্যে ১০% শুল্ক কার্যকর রয়েছে। তবে ট্রাম্প এই নতুন শুল্ক কত শতাংশ হবে, তা নির্দিষ্ট করেননি।
শুল্ক মূলত আমদানিকারকের উপর সরাসরি কর হলেও, মূল্য বৃদ্ধি পণ্যের চাহিদা কমিয়ে দেয় এবং বিকল্প দেশ থেকে আমদানি বা অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বাড়ানোর প্রবণতা সৃষ্টি করে, যা রপ্তানিকারক দেশের ওপরও চাপ ফেলে।
এদিকে ট্রাম্প রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের উপরও চাপ বাড়িয়েছেন দ্রুত যুদ্ধবিরতির জন্য। তিনি বলেন, ‘পূর্বঘোষিত সময়সীমার আগেই ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে।’