মঙ্গলবার, ০৫ অগাস্ট ২০২৫, ০১:০৯ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ দীর্ঘ খরার পর অবশেষে গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিপাতে চায়ের রাজধানী শ্রীমঙ্গলের চা-বাগানগুলো যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে। তাপদাহ ও খরায় চা-বাগানের উৎপাদন প্রক্রিয়ায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। বৃষ্টিপাতে সেই আশঙ্কা দূর হয়ে প্রাণ ফিরে পাওয়া চা-বাগানগুলো এখন দু’টি পাতা একটি কুঁড়িতে সেজেছে। চারদিকে এখন শুধু সবুজের সমারোহ।
এদিকে সরকারি সিদ্ধান্তে করোনা পরিস্থিতিতেও চা-বাগান চালু রাখা হয়েছে। তাতে নষ্ট হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে হাজার হাজার কেজি চা পাতা। তবে সংক্রমণ ঝুঁকি মোকাবিলায় শারীরিক দূরত্বসহ সরকারি সব নির্দেশনা মেনে চা-বাগানে স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড চলছে।
শ্রীমঙ্গলে গত ১ থেকে ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত ১০৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
সরেজমিনে শ্রীমঙ্গলের কয়েকটি চা-বাগান ঘুরে দেখা যায়, নারী চা শ্রমিকরা পাতা চয়ন করছেন। করোনার সময় নিয়ম মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে তারা কাজ করছেন। কর্মব্যস্ততা দেখা গেছে বাবু, সর্দার আর চৌকিদারদের মধ্যেও।
বাংলাদেশ চা সংসদের সিলেট শাখার চেয়ারম্যান ও ফিনলে টি কোম্পানির জেনারেল ম্যানেজার গোলাম মোহাম্মদ শিবলি বলেন, টানা দুই-তিনদিনের বৃষ্টিতে চা গাছে নতুন কুঁড়ি এসেছে। ফলে এরই মধ্যে আমরা পাতা চয়নের কাজ শুরু করে দিয়েছি।
চা-বাগান চালু রাখার সরকারি সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে এই চা বিশেষজ্ঞ বলেন, আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত চা-বাগান বন্ধ রেখেছে। আগামী মাসে খোলার কথা রয়েছে। আমরা এই সময়কে কাজে লাগাতে পেরেছি।
তিনি আরও বলেন, চা-বাগান বন্ধ হলে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তো এই শিল্প। এখনকার কুঁড়ি সময়মতো চয়ন করা না গেলে এই পাতা নষ্ট হতো। আর নতুন কুঁড়ির জন্য ৪০-৪৩ দিন অপেক্ষা করতে হতো। এতে করে সার্বিক চা উৎপাদন প্রক্রিয়া কয়েক মাস পিছিয়ে যেতো। তাতে বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তো চা শিল্প।
সংশ্লিষ্টরা জানান, করোনার প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় চা-বাগানগুলোতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কাজের সময় সামাজিক দূরত্ব, সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বিষয়ে সরকারি সব বিধিনিষেধ মেনে চলতে বাগানগুলোতে ওরিয়েন্টেশনসহ রোগ প্রতিরোধ উপকরণ সরবরাহ করা হয়েছে।