রবিবার, ০৩ অগাস্ট ২০২৫, ১২:৩২ পূর্বাহ্ন
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধিঃ বিয়ের মাত্র ১০ দিনের মাথায় অন্তরা খাতুন নামে এক কিশোরী অত্মহত্যা করেছে। সোমবার (৩১ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার নুরনগর কলোনিপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
অন্তরা খাতুন চুয়াডাঙ্গা আল-হেলাল জুনিয়র ইসলামি একাডেমি স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন।
স্থানীয়রা জানায়, চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার নুরনগর কলোনিপাড়ার কলিম উদ্দিন কলোর মেয়ে অন্তরা খাতুনের সঙ্গে একই এলাকার আশার ছেলে নিটল মটরসে কর্মরত শাহ আলমের (২৫) প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ২২ মে শাহ আলমের বাড়িতে দুজন একই ঘরে অবস্থান কালে এলাকার লোকজন তাদের আটক করে। পরে এলাকাবাসী সেদিনই কাজি ডেকে ৯০ হাজার টাকা দেনমোহরে তাদের বিয়ে দিয়ে দেন।
অন্তরার বাবা বলেন, বিয়ের দুদিন পর শ্বশুরবাড়ি থেকে মেয়ে আমার বাড়িতে চলে আসে। তাদের বিয়েটা শাহ আলমের পরিবারের লোকজন মেনে নিতে পারেনি। এ জন্য তারা অন্তরাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করত। তালাক দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিল। তাদের চাপ আমার মেয়ে সহ্য করতে না পেরে ঘরের ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
এদিকে খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ অন্তরা খাতুনের মরদেহ উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে দুপুরে মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর শেফালি খাতুন বলেন, ছেলের পরিবার অন্তরাকে মেনে নেয়নি। এই অভিমানে সে আত্মহত্যা করেছে। এ ছাড়া অন্তরার ওপর কোনো নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে বলে আমার জানা নেই।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ খফরুল আলম খান জানান, বিয়ের ১০ দিনের মাথায় অন্তরা খাতুনের আত্মহত্যার বিষয়টি আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে। সে কারণে মরদেহ ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে। সেইসঙ্গে আমরা রহস্য উদঘাটনে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে সব কিছু বোঝা যাবে। এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা।
এদিকে সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে জানাজার নামাজ শেষে স্থানীয় কবরস্থানে অন্তরা খাতুনের মরদেহ দাফন সম্পন্ন করা হয়।