বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:১১ পূর্বাহ্ন

বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের শেখ হাসিনা গণতন্ত্র হত্যা করেছে: রিজভী

বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য পেশ করছেন বিএনপির জেষ্ঠ্য যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

নিজস্ব প্রতিবেদক:: বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের শেখ হাসিনা গণতন্ত্র হত্যা করেছে। তার বাবাও বাকশাল প্রতিষ্ঠা করে গণতন্ত্র হত্যা করেছে।

বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় দোহারে ঢাকা জেলা কর্তৃক আয়োজিত বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির জেষ্ঠ্য যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেন।

দোহারের জয়পাড়া কালেমা চত্বরে ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাকের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক নিপুন রায় চৌধুরীর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে দোহার নবাবগঞ্জ ও আশপাশের উপজেলার নেতাকর্মীরা মিছিল ফেস্টুন ঢাক-ঢোল ও বাদ্যযন্ত্র নিয়ে সমাবেশে যোগ দেয়। প্রায় দেড় দশক পরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রকাশ্যে লোকসমাগম করেছে দলটি। এ সমাবেশের মধ্য দিয়ে তারা যেন আগামী নির্বাচনে দলের অবস্থান জানান দিলো। সমাবেশের শুরুতে জাতীয় এবং দলীয় সংগীত পরিবেশন করেন।

রিজভী বলেন, নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্র ততই বাড়ছে। এ বিষয়ে বিএনপির প্রতিটি নেতাকর্মীকে সর্তক থেকে কাজ করতে হবে। ভারতে প্রেসক্রিপশন নিয়ে যারা ক্ষমতা দখল করতে চায় জনগণ তাঁদেরকে আওয়ামী লীগের মতো শিক্ষা দিয়ে দেশ থেকে বিতারিত করবে। বিএনপি কোনো প্রভু দেশের তাবেদারীর রাজনীতি করে না। শহীদ জিয়ার আদর্শের দল কখনো জনগণের সাথে বেঈমানী করে না। আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দেশের মানুষের কথা চিন্তা করে জেলে ছিলেন। সেই জনগণই তাকে সম্মান দিয়ে আজ দেশের রাজনীতিতে চিরস্মরণীয় করেছেন। আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশনায় বিএনপি স্বৈরাচার বিতারিত করেছে।

যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ১৬ বছর এদেশের মানুষ ভোট দিতে পারেনি। যে ভোট ও ভাতের অধিকার আদায়ে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সেই গণতন্ত্র রক্ষায় অসংখ্য নেতাকর্মী জীবন দিয়েছে। হাসিনার বাবা শেখ মুজিব দেশে বাকশাল করে গণতন্ত্র হত্যা করেছে। ঠিক একই কায়দায় হাসিনাও বাকশাল করে গণতন্ত্র হত্যা করেছে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসংসদ নির্বাচনে ছাত্রদলকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করার আহবান জানান। সারাদেশের নেতাকর্মীদের সন্তান যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে তারা যেন ছাত্রদলের প্যানেলকে জয়ী করে সে বিষয়ে তিনি গুরুত্বারোপ করেন। প্রচন্ড গরমের কারণে প্রধান অতিথি তার বক্তব্য অনেকটাই সংক্ষেপ করেন। সমাবেশ শেষে নেতাকর্মীরা একটি সুসজ্জিত মিছিল ও শোভাযাত্রা নিয়ে জয়পাড়া কালেমা চত্বর থেকে লটাখোলা করম আলীর মোড় পর্যন্ত প্রদক্ষিণ করে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. মো. সালাহউদ্দিন বাবু, মো. তজিউদ্দিন, জেলা বিএনপির জেষ্ঠ্য সহসভাপতি খন্দকার মাইনুল হোসেন, দোহার থানা বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম(মেছের), সাধারণ সম্পাদক মাসুদ পারভেজ, ঢাকা জেলা মহিলা দলের সভাপতি শামীমা রাহিম, বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম বেপারী, ইয়ানুস আলী খান, এসএম আব্দুল কুদ্দুস, ঢাকা জেলা কৃষকদলের সভাপতি জুয়েল মোল্লা, সাবেক ভিপি মহসীন রহমান (আকবর), জেলা যুবদলের জেষ্ঠ্য সহসভাপতি আবুল হাশেমসহ কেন্দ্রীয়, জেলা ও উপজেলার বিভিন্নস্তরের নেতাকর্মীরা।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com