বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ০৯:৫৫ অপরাহ্ন

বাতিল হচ্ছে এইচএসসির রুটিন আসতে পারে নতুন সিদ্ধান্ত

বাতিল হচ্ছে এইচএসসির রুটিন আসতে পারে নতুন সিদ্ধান্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক, একুশের কণ্ঠ:: কোটা সংস্কার আন্দোলনের কারণে স্থগিত হওয়া এইচএসসি ও সমমানের বাকি পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ করেছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড। নতুন রুটিনে বাকি পরীক্ষাগুলো ১১ সেপ্টেম্বর হওয়ার কথা থাকলেও রুটিনটি বাতিল হতে পারে বলে জানা গেছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. শেখ আব্দুর রশিদ এমন নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) ১১টি শিক্ষা বোর্ডের আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির বৈঠকে এ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে বলে জানায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ড।

এইচএসসি ও সমমানের কিছু বিষয়ের পরীক্ষা সময়সূচি অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হলেও আন্দোলনের কারণে কিছু পরীক্ষা স্থগিত হয়ে যায়। সরকার পতনের পর সংশোধিত নতুন সময়সূচি দিয়েও পরীক্ষা নিতে পারেনি শিক্ষা বোর্ডগুলো।

অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর স্থগিত পরীক্ষাগুলো ১১ সেপ্টেম্বর থেকে নিতে সময়সূচি প্রকাশ করা হলেও আর পরীক্ষায় বসতে চান না শিক্ষার্থীরা।

১৫ আগস্ট নতুন সময়সূচি প্রকাশের পর থেকে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় অটো পাস অথবা এসএসসির ফলাফলের ভিত্তিতে ফল তৈরির দাবি করে আন্দোলনে নেমেছে শিক্ষার্থীরা।

ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বোর্ড ঘেরাও ও কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করার ঘটনাও ঘটেছে।

শিক্ষার্থীদের দাবি, তাদের আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী সহপাঠীরা আহত এবং চিকিৎসাধীন। তাছাড়া বিভিন্ন থানায় রাখা প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্র পুড়ে যাওয়ার পর তারা আর বাকি পরীক্ষায় অংশ নিতে চান না।

শিক্ষার্থীদের দাবি শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে অবগত করেছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি। এরপর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. আব্দুর রশিদ রুটিন বাতিলের নির্দেশনা দিয়ে মঙ্গলবার বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের কথা জানান।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, মন্ত্রণালয়ে শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো জানানোর পরে সেখান থেকে কিছু নির্দেশনা দিয়েছে। শিক্ষা উপদেষ্টা, সচিব, বোর্ড চেয়ারম্যানের অংশগ্রহণে মঙ্গলবার মিটিংয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।

গত ৩০ জুন এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। রুটিন অনুযায়ী ৮ দিন পরীক্ষার পর আন্দোলনের কারণে ১৮ জুলাইয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এরপর আরও তিন দফায় পরীক্ষা স্থগিত করে সরকার।

এখনো ১৩ দিনের মোট ৬১টি বিষয়ের পরীক্ষা গ্রহণ বাকি রয়েছে। বিভিন্ন বিভাগের বিভিন্ন বিষয় থাকায় এতগুলো পরীক্ষা আটকে গেছে।

প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে ১৩টি বিষয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়। এর মধ্যে বাধ্যতামূলক বাংলা ও ইংরেজির চারটি বিষয় (প্রথম ও দ্বিতীয়পত্র) এবং আইসিটি। ৮টি বিষয় ঐচ্ছিক (অপশনাল)।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com