শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫, ০৬:০৭ অপরাহ্ন

বাংলাদেশকে হারিয়ে সিরিজে সমতা আনল নিউজিল্যান্ড

স্পোর্টস রিপোর্টার:: মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে বাংলাদেশকে ৪ উইকেটে হারিয়ে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ১-১ এ সমতা আনলো নিউজিল্যান্ড। সিলেট টেস্টের পর ঢাকা টেস্টেও জয়ের সম্ভাবনা তৈরি করে বাংলাদেশ। ৬৯ রানে কিউইদের ৬ উইকেট তুলে নেয় টাইগার বোলাররা। কিন্তু সপ্তম উইকেটে মিচেল স্যান্টনার ও গ্লেন ফিলিপসের ৭০ রানের জুটিতে ৪ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে নিউজিল্যান্ড।

ঢাকা টেস্টের চতুর্থ দিনে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম কিউই বোলারদের বোলিং তোপে একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশর ব্যাটারারা। স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে আজ কিউদের বিপক্ষে অর্ধশতক তুলে নিয়েছেন ওপেনার জাকির হাসান। শেষ পর্যন্ত সব উইকেট হারিয়ে ১৪৪ রান তুলে বাংলাদেশ। যার ফলে বাংলাদেশের লিড দাঁড়ায় ১৩৬। দ্বিতীয় টেস্টে জয়ের জন্য নিউজিল্যান্ডের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৩৭ রান।

বাংলাদেশের দেওয়া ১৩৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় কিউইরা। কিউই শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন পেসার শরিফুল ইসলাম। এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে সাজঘরে ফেরান ডেভন কনওয়েকে।

শরিফুলের পর কিউই শিবিরে আঘাত হানেন তাইজুল ইসলাম। তাইজুলের বলে সোহানের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান কেন উইলিয়ামসন। আউট হওয়ার আগে করেন ২৪ বলে ১১ রান।

উইলিয়ামসনের পর সাজঘরে ফিরে যান হেনরি নিকোলসও। এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে তাকে ফেরান মেহেদী হাসান মিরাজ।

হেনরি নিকোলসের পর বেশি সময় ক্রিজে থাকতে পারেননি টম লাথামও। ৬০ বলে ২৬ রান করা লাথামকে সাজঘরে ফেরান মিরাজ। পরপর দুই উইকেট নেন তিনি। মিরাজের পর কিউই শিবিরে আঘাত হানেন আরেক স্পিনার তাইজুল ইসলাম। তাইজুলের বলে সোহানের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরের পথ ধরেন টম ব্লান্ডেল। তার বিদায়ে ৫১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে নিউজিল্যান্ড।

নিউজিল্যান্ডের বিপদ আরও বাড়িয়ে সাজঘরে ফিরেন ড্যারিল মিচেল। তাইজুলের বলে শান্তর হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। শুরুতে আম্পায়ার নাকচ করলেও রিভিউতে ঠিকই কাঙ্ক্ষিত উইকেট পেয়ে যায় বাংলাদেশ।

৬৯ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে জুটি গড়েন মিচেল স্যান্টনার ও গ্লেন ফিলিপস। তারা দুই জনই চড়াও হতে থাকেন টাইগার বোলারদের ওপর। এই জুটিতে ভর করে ৯৬ রান করে চা বিরতিতে যায় নিউজিল্যান্ড।

চা বিরতি থেকে ফিরে দেখেশুনেই খেলতে থাকেন এই দুই ব্যাটার। বাংলাদেশের ব্যাটাররা ব্যর্থ হন এই জুটি ভাঙতে। শেষ পর্যন্ত জয় নিয়েই মাঠ ছাড়েন তারা। স্যান্টনার ৩৫ ও ফিলিপস ৪০ রানে অপরাজিত থাকেন।

এর আগে ঢাকা টেস্টের প্রথম দিনে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। কিন্তু ব্যাটিংয়ে কিউইদের স্পিন বিষে নীল হয়েছে শান্ত-মুমিনুলরা। তিন কিউই স্পিনার এজাজ প্যাটেল, মিচেল স্যান্টনার ও গ্লেন ফিলিপস ধসিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন আপ। এর তিন স্পিনার তুলে নিয়েছেন বাংলাদেশর ৮ উইকেট। শেষ পর্যন্ত ৬৬ ওভার ২ বলে সব উইকেট হারিয়ে ১৭২ রান তোলে বাংলাদেশ।

এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে টাইগারদের ঘূর্ণিতে বাংলাদেশের চেয়েও খারাপ দশা হয় কিউইদের। ৪৬ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারায় তারা। আলো স্বল্পতার কারণে প্রথম দিন নির্ধারিত সময়ের আগেই শেষ হয় খেলা। যার ফলে ৫৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে প্রথম দিন শেষ করে কিউইরা। আর দ্বিতীয় দিনের খেলা বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত ষোষণা করা হয়।

এরপর তৃতীয় দিনের খেলা সকাল সাড়ে নয়টার পরিবর্তে শুরুর কথা ছিল সকাল সোয়া নয়টায়। তবে বৃষ্টি থামলেও ভেজা মাঠের কারণে তৃতীয় দিনের খেলা নির্ধারিত সময়ে শুরু হতে পারেনি। অবশেষে বেলা ১২ টায় শুরু হয় খেলা।

নিউজিল্যান্ডকে ১৮০ রানে অলআউট করে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ে নেমে ৮ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৩৮ রান তোলে টাইগাররা। যার ফলেই তাদের লিড দাঁড়ায় ৩০ রান। কিন্তু এরপরে আলো স্বল্পতার কারণে খেলা আর চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। দেড় ঘণ্টার পর আলো স্বল্পতার কারণে তৃতীয় দিনের খেলা সমাপ্ত ঘোষণা করেন আম্পায়াররা।

চতুর্থ দিনে ব্যাটিংয়ে নেমে কিউই বোলারদের বোলিং তোপে ১৪৪ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। যার ফলে বাংলাদেশের লিড দাঁড়ায় ১৩৬। দ্বিতীয় টেস্টে জয়ের জন্য নিউজিল্যান্ডের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৩৭ রান।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com