সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫, ০২:২৩ পূর্বাহ্ন
ফরিদপুর প্রতিনিধি:: সালথায় জমি-জমা নিয়ে কথাকাটাকাটির জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় মোহাম্মাদ মাতুব্বর (৬০) নামে গুরুত্বর আহত এক বৃদ্ধ রবিবার ভোররাতে হাসপাতালে মারা গেছেন।
শনিবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার ভাওয়াল ইউনিয়নের নারানদিয়া গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে। নিহত মোহাম্মদ মাতুব্বর ওই গ্রামের মৃত জহুর মাতুব্বরের ছেলে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শনিবার সন্ধ্যায় নারানদিয়া গ্রামের নুরু মাতুব্বরের সমর্থক জলিল শেখের ছেলে আবেদ শেখের সাথে প্রতিপক্ষ ইউপি সদস্য ওহিদ মাতুব্বরের সমর্থক ওয়াজেদ মাতুব্বরের ছেলে আবেদ মাতুব্বরের জমি মারকেজ নিয়ে কথাকাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এরই সুত্র ধরে ওহিদ মাতুব্বরের সমর্থকদের সাথে নুরু মাতুব্বরের লোকজনের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় নুরু মাতুব্বরের চাচা নিহত মোহাম্মাদ মাতুব্বর দৌড় দিলে রাস্তায় পড়ে যায়। তখন প্রতিপক্ষের লোকজন মোহাম্মদ মাতুব্বরের উপর হামলা চালায়। এ হামলায় গুরুত্বর আহতবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রবিবার ভোররাতে তিনি মারা যান।
নিহতের ভাই ইনছুর মাতুব্বর বলেন, আমার ভাই মোহাম্মদ মাতুব্বর নারানদিয়া বাজারে চা খেতে গেলে ওহিদ মাতুব্বর ও সাহেব আলী মাতুব্বরের লোক ইয়াদ আলী, জাকির ও মাহবুব সহ বেশকিছু লোক পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়ে হত্যা করেছে। নিহতের মেয়ে মাহফুজা বেগম জানান, আমার বাবাকে ওহিদ ও সাহেব আলীর হুকুমে হত্যা করা হয়েছে। আমার বাবার হত্যার বিচার চাই।
এদিকে সাহেব আলী মাতুব্বর ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে ফোন করে এ প্রতিনিধিকে বলেন, বাজারে জমি নিয়ে হাতাহাতীর বিষয়টি নিয়ে নুরু মাতুব্বরের লোক আবেদ, নাইম ও ইব্রাহিম সহ রামদা নিয়ে আগায় আসলে আমাদের লোকজনও ধাওয়া দেয়। এই ঘটনাটি স্থানীয় মজিবর ও লক্ষনদিয়ার সুরুজ মাতুব্বর উভয় পক্ষকে মিমাংশা করে দেন। মোহাম্মদ মোল্যা অসুস্থ্য মানুষ। তার উপর কেউ হামলা করেনি।
নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আশিকুজ্জামান বলেন, এঘটনায় এলাকা শান্ত রাখার জন্য পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।