বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫, ০৫:২৩ পূর্বাহ্ন
রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি::
ডিজাইন অনূযায়ী বঙ্গবন্ধু মুরাল তৈরির কাজ না হওয়ায় প্রকৌশলীর ভুলে গত ২০ সেপ্টেম্বর বিকালে ভেঙ্গে ফেলা হলো নির্মিত হওয়া বঙ্গবন্ধুর মুরাল। সরকার সারা দেশে উপজেলা পরিষদ গুলোতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুরাল তৈরির পরিকল্পনা হাতে নিলে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলা পরিষদ মুরাল তৈরির দরপত্র আহবান করেন।
জানা যায়, উপজেলা পরিষদ সাড়ে ৬ লক্ষ টাকা ব্যায়ে ৭-২০১৯-২০ এলটিএম নং নোটিশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুরাল গত ২৪ ফেব্রুয়ারী টেন্ডার আহবান করে, ১০ মার্চ সিডিউল বাছাই করে ঠিকাদার নিয়োগ করেন। ঠিকাদার নির্মান কাজটি প্রায় শেষ করার পথে, কিন্তু হঠাৎ উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মৌসুমি আফরিদা ৯ সেপ্টেম্বর মুরাল নির্মানের কাজটি পরিদর্শন করতে গেলে প্লান ও পাক্কন অনূযায়ী কাজটি না হওয়ায় উপজেলা প্রকৌশলী ও কাজটি তদারকি কর্মকর্তার উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এসময় তিনি (মৌখিক ভাবে) মুরালে নির্মান কাজটি ভেঙ্গে ফেলার নির্দেশ দেন।
এ প্রসঙ্গে গুলনাহার ট্রের্ডাসের সত্তাধিকারি আব্দুল্লাহ আল তারেক নিপু বলেন, নির্মিত হওয়া মুরালটি প্রকৌশলীর ভুলে ভেঙ্গে ফেলার কারণে কোন বরাদ্দ ছাড়াই এবার প্রকৌশলীর ব্যক্তিগত অর্থায়নে তৈরি করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী তারেক বিন ইসলামের মুঠোফোনে বার বার যোগাযোগ করা হলে তিনি টেলিফোন এবং ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনটি রিসিফ করেননি।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মৌসুমী আফরিদা বলেন, এ কেমন প্রকৌশলী আমি বুঝিনা বঙ্গবন্ধু মুরাল তৈরি কাজটি ডিজাইন অনূযায়ী হবে না এটা মেনে নেওয়ার মতো নয়। তাই আমি ডিজাইন অনূযায়ী কাজটি বুঝে নেব।
উপজেলা আ’লীগ সভাপতি অধ্যাপক সইদুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতার প্রতিক এরকম একটি মুরাল তৈরি করে যে ভুলের কারণে ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে তা খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হোক। তাছাড়া আমি মিডিয়ার মাধ্যমে আমি জোর দাবি জানাচ্ছি।
নির্বাহি প্রকৌশলী সাহারুল আলম বলেন, মুরালের বিষয়টি আমার জানা নেই, যেহেতু স্থানীয় অর্থায়নে তৈরি হয়েছে। বিষয়টি উপজেলা প্রকৌশলীর সাথে কথা বলে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।