পোর্ট এলিজাবেথ টেস্টেও হারের মুখে বাংলাদেশ, সাকিব ও মিরাজকে ছাড়িয়ে তাইজুল

editor
1. ১০ এপ্রিল, ২০২২ / ২২৮ জন দেখেছেন

স্পোর্টস রিপোর্টার, ই-কণ্ঠ টোয়েন্টিফোর ডটকম ॥ এবার আরও বড় ব্যবধানে হারের সম্মুখিন হতে চলেছে মুমিনুল বাহিনী। বাংলাদেশের সামনে জিততে যে ৪১৩ রানের বিশাল টার্গেট দাড় হয়ে গেছে। জিততে এখনও যে রান লাগবে। বিশাল টার্গেটে খেলতে নেমে তৃতীয় দিনের শেষ বেলায় ৯.১ ওভার খেলেই ৩ উইকেট হারিয়েও ফেলেছে বাংলাদেশ। ২৭ রান করতে পেরেছে। তাতে এখনও জিততে লাগবে ৩৮৬ রান। হাতে আছে ৭ উইকেট ও দুইদিন। প্রথম টেস্টের সেঞ্চুরিয়ান মাহমুদুল হাসান জয়ের ‘গোল্ডেন ডাকে’র পর নাজমুল হোসেন শান্ত (৭), তামিম ইকবাল (১৩) আউট হন। দিনও শেষ হয়। এখন ব্যাট হাতে উইকেটে আছেন মুমিনুল হক (৫*)। কেশভ মহারাজ তো শুরুতেই ছোবল দিয়ে ফেলেন। দলের ১১ রানের মধ্যে জয় ও শান্তকে আউট করে দেন। তামিমকে আউট করেন সাইমন হারমার।

বাংলাদেশ প্রধান কোচ রাসেল ডোমিঙ্গোর আক্ষেপটাই হয়তো বেশি থাকবে। জন্মস্থান পোর্ট এলিজাবেথে খেলা। অথচ ঠান্ডা, জ্বর থাকায় ড্রেসিংরুমে তিনি থাকতে পারছেন না। বাসায় থেকেই খেলা দেখছেন। আর হতাশায় ডুবছেন। ডারবান টেস্টে যেমন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২২০ রানের বড় ব্যবধানে হার হয়েছে। এবার ডোমিঙ্গোর জন্মস্থান পোর্ট এলিজাবেথে টেস্টেও যে হারের মুখে বাংলাদেশ।

এমন ম্যাচে স্পিনার তাইজুল ইসলাম বোলিং ঝলক দেখান। প্রাপ্তি তাইজুলের বোলিংই বলা চলে। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে প্রথম ও একমাত্র বাংলাদেশ বোলার হিসেবে ম্যাচে ৯ উইকেট শিকার করার কৃতিত্ব দেখান তাইজুল। এরআগে ২০০৮ সালে সাকিব আল হাসান ও এবার প্রথম টেস্টে মেহেদি হাসান মিরাজ দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ম্যাচে সর্বোচ্চ ৬ উইকেট শিকার করেন। তাইজুল সাকিব ও মিরাজকে পেছনে ফেলেন। আর সেন্ট জর্জেস পার্ক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অষ্টম বোলার হিসেবে ম্যাচে ৯ বা তার চেয়ে বেশি উইকেট শিকারের তালিকায় নাম লেখান তাইজুল।

নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে কখনোই ২১৫ রানের বেশি টার্গেট নিয়ে জিততে পারেনি বাংলাদেশ। তাতেই বোঝা যাচ্ছে, প্রথম টেস্টের পর দ্বিতীয় টেস্টেও হারের মুখেই পড়ে গেছে বাংলাদেশ। যেভাবে উইকেটে স্পিনাররা দাপট দেখাচ্ছেন, তাইজুল ইসলাম প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেট নেওয়ার পর আবারও ৩ উইকেট শিকার করে নিয়েছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার কেশভ মহারাজ ও সাইমন হারমার তো বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানদের ছোবল দিতে ফুসতে থাকেন!

প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার করা ৪৫৩ রানের জবাবে ২১৭ রানেই অলআউট হয়ে গেছে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসেই ফলোঅনে পড়ার সাথে ৩১৪ রানে পিছিয়ে থাকে বাংলাদেশ। ফলোঅন না করিয়ে নিজেরাই ব্যাটিংয়ে নেমে এরপর ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে দক্ষিণ আফ্রিকা। তাতে করে ৪১২ রানে এগিয়ে থাকে দক্ষিণ আফ্রিকা। ডিন এলগার (২৬), কিগার পিটারসেন (১৪), সারেল এরউই (৪১), রায়ান রিকেলটন (১২), টেম্বা বাভুমা (৩০), উইয়ান মুলদার (৬) আউটের পর কাইল ভেরেইন (৩৯*) উইকেটে থাকলেও ইনিংস ঘোষনা করে দেয় দক্ষিণ আফ্রিকা।

মুমিনুল, মুশফিক, লিটন, রাব্বি, মিরাজদের বিশেষ নৈপুন্যে কোন ক্যারিশমার আশা কী করা যায়? শুরু থেকেই মারমুখি হয়ে খেলেন দক্ষিণ আফ্রিকা ব্যাটসম্যানরা। তাতে রানও উঠে দ্রুত। আবার উইকেটও যেতে থাকে। ৩৯.৫ ওভারেই ১৭৬ রান করে ফেলে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম ইনিংসে ৫টি ৫০ রানের জুটি হলেও এবার এলগার ও এরউইয়ের মধ্যকার ওপেনিংয়ে শুধু ৫০ রানের জুটি হয়। আর কোন বড় জুটি মিলেনি। এলগার, পিটারসেন, রিকেলটনকে তাইজুল এবং বাভুমা, মুলদারকে আউট করেন দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই বুকে বল লেগে মাঠ ছেড়ে আবার মাঠে এসে বোলিং করা মেহেদি হাসান মিরাজ। এরউইকে পেসার খালেদ আহমেদ আউট করেন।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে ২৭৪ রানের টার্গেট নিয়েই ২২০ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। তাতে সিরিজে ০-১ ব্যবধানে পিছিয়ে আছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন