সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:১৬ অপরাহ্ন
গাজীপুর প্রতিনিধিঃ গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে অজ্ঞাত যুবকের মরদেহের পরিচয় উদঘাটন ও ক্লুলেস হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। র্যাবে নব সংযোজিত অনসাইট আইডেন্টিফিকেশন অ্যান্ড ভেরিফিকশন সিস্টেমের (ওআইভিএস) মাধ্যমে মরদেহের পরিচয় নিশ্চিত করা হয়।
শনাক্ত হওয়া যুবকের নাম কবির হাসান (২২)। তিনি রংপুর মিঠাপুকুরের শঠিবাড়ীর জাবিউল ইসলামের ছেলে। গত ৩০ মার্চ (সোমবার) গাজীপুরের শ্রীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের দক্ষিণ-পূর্বদিকে ৪নং গেটের পাশে একটি অজ্ঞাত পরিচয় যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ঘটনায় শ্রীপুর থানায় একটি মামলা দায়ের হয়।
র্যাব-১ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া অফিসার) সহকারী পুলিশ সুপার মুশফিকুর রহমান তুষার জানান, মরদেহ উদ্ধারের পর থেকেই র্যাব-১ এই চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের ছায়া তদন্ত শুরু করে। গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় ১ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) রাজধানীর পল্লবীর থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাসুদুর রহমান (৩৭), মো. আব্দুল হালিম (৩৬) ও মো. লালটু মিয়া (৪১) নামে তিনজনকে আটক করে র্যাব। এই চক্রটি মানবপাচার, চাকরি, প্রতারণা ও সুদের ব্যবসাসহ নানা ধরনের অবৈধ কাজের সঙ্গে জড়িত। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কবির হোসেন (২২) হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িত বলে জানায় তারা।
জিজ্ঞাসাবাদ ও বিভিন্ন তথ্য যাচাই-বাছাই করে র্যাব-১ জানতে পারে, গত ২৫ মার্চ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ উপজেলার বৈদ্যের বাজার ইউনিয়নের খংসারদি সেতুর নিচে অজ্ঞাত এক যুবকের মরদেহ পাওয়া যায়। ওই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গেও তারা জড়িত স্বীকার করে। র্যাব অজ্ঞাত যুবকের পরিচয় উদঘাটন করে জানায় নিহতের নাম মো. সাগর হোসেন (২৫)। তিনি জয়পুরহাট পাঁচবিবি হাটখোলার আব্দুর রশিদের ছেলে।
আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত প্রাইভেটকার, দুটি গামছা, পাঁচটি মোবাইল ফোন, দুটি ল্যাপটপ, একটি ডেক্সটপ, নগদ ১১ হাজার ২৩০ টাকা, বিভিন্ন ধরনের ভিজিটিং কার্ড, ১৫টি বায়োডাটা, খালি স্ট্যাম্প, প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের সিল ও অফিস আইডি কার্ড উদ্ধার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।