বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ০৭:৫৯ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক:: বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রবেশ পর্যায়ের শিক্ষক নিয়োগ (শিক্ষক নিবন্ধন) পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ায় যমুনা রায় (২৭) নামে এক শিক্ষক আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঢাকার নবাবগঞ্জের জয়কৃষ্ণপুর এলাকার কল্যাণশ্রী গ্রামে তার বাড়ি। নিহত শিক্ষক যমুনা রায় ওই গ্রামের নরেন্দ্র রায়ের মেয়ে। তিনি শিকারীপাড়া টি.কে.এম উচ্চ বিদ্যালয়ের খন্ডকালীন শিক্ষিক হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন।
বুধবার (২০ আগস্ট) দুপুরে নিজ বাড়ি থেকে তার লাশ উদ্দার করে সুরতহাল শেষে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
পারিবারিক ও পুলিশ সূত্র জানায়, গত ১৯ আগস্ট (মঙ্গলবার) সরকার কর্তৃক বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রবেশ পর্যায়ের শিক্ষক নিয়োগ (শিক্ষক নিবন্ধন) পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করে। এতে যমুনা রায় অকৃতকার্য হন। এঘটনার পর পরিবারের সাথে রাতের খাবার খেয়ে নিজ কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত আনুমানিক ২টার দিকে পাশের কক্ষ থেকে তাঁর মা যমুনার গলায় ওড়না পেছিয়ে ঘরের ফ্যানের সাথে ঝুলে থাকতে দেখেন। বেলা ১১টার দিকে নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে। পরে সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে দুপুরে লাশ থানায় আনা হয়। বিকেল ৩টায় লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতালে প্রেরণ করে।
এদিকে শিক্ষক যমুনা রায় সরকারি দোহার নবাবগঞ্জ কলেজের বাংলা বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের মেধাবী ছাত্রী ছিলেন। ২০২৩ সালে শিকারীপাড়া টি.কে.এম উচ্চ বিদ্যালয়ে খন্ডকালীন বাংলা শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন।
যমুনার মা চিনু রায় বলেন, মেয়েটি এভাবে চলে যাবে ভাবি নাই। মেয়ের শোকে কাতর চিনু রায় ও তার পরিবার। প্রত্যন্ত গ্রাম এলাকা থেকে মেয়েটি লেখাপড়া করেছে। কিন্তু হঠাৎ তার মধ্যে এতো হতাশার কারণ খুঁজে পান না মা।
নবাবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মমিনুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ধারণা করা হচ্ছে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার মানসিক চাপে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তবুও অধিকতর তদন্তের জন্য লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করতে মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।