বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ০৭:৫৮ অপরাহ্ন

নারী সংস্কার কমিশনের বিতর্কিত বিষয়ের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট

নারী সংস্কার কমিশনের বিতর্কিত বিষয়ের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট

নিজস্ব প্রতিবেদক, একুশের কণ্ঠ:: উইমেন রিফর্ম কমিশন রিপোর্ট ২০২৫-এর ছয়টি অধ্যায়কে ইসলামি শরীয়ত, জনগণের ধর্মীয় অনুভূতি এবং বাংলাদেশ সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক উল্লেখ করে হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের হয়েছে। রিটে রিপোর্টের বিতর্কিত সুপারিশ বাস্তবায়ন থেকে বিরত থাকতে এবং বিষয়টি পর্যালোচনার জন্য বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

রোববার (৪ মে) সকালে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট দায়ের করেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট রওশন আলী। রিটটি বিচারপতি ফাতেমা নজিব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে শুনানির জন্য আগামীকাল সোমবার তালিকাভুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে।

আইনজীবী বলেন, উইমেন রিফর্ম কমিশন রিপোর্ট, ২০২৫ এর অধ্যায় ৩, ৪, ৬, ১০, ১১ এবং ১২-এ অন্তর্ভুক্ত সুপারিশসমূহ ইসলামী শরীয়তের বিধানসমূহের পরিপন্থি, জনগণের ধর্মীয় অনুভূতির পরিপন্থি এবং বাংলাদেশ গণপ্রজাতন্ত্রী সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ায়, এ বিষয়ে রিট পিটিশন দায়ের করা হয়েছে।

‘উইমেন রিফর্ম কমিশন রিপোর্ট, ২০২৫’- এই রিপোর্টটি ৩১৮ পৃষ্ঠাব্যাপী এবং সম্প্রতি বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশিত ও আলোচিত হয়েছে। রিপোর্টের বিভিন্ন সুপারিশ ইসলামী শরীয়ত, আমাদের সংবিধান এবং দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষের মূল্যবোধের সঙ্গে সরাসরি সাংঘর্ষিক।

প্রথমত, রিপোর্টের অধ্যায় ১১-তে পুরুষ ও নারীর জন্য সমান উত্তরাধিকার দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে, যা সরাসরি কোরআনের সুরা নিসা (৪:১১)-এর পরিপন্থি।

দ্বিতীয়ত, রিপোর্টে বহুবিবাহ নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব এসেছে, যা ইসলামী শরীয়তে অনুমোদিত একটি বিধান এবং সংবিধানের ৪১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ধর্মচর্চার অধিকার ক্ষুণ্ণ করে।

তৃতীয়ত, ‘My Body, My Choice’ স্লোগানকে অন্ধভাবে সমর্থন দিয়ে শরীয়তের ওপর ভিত্তি না রেখে নৈতিকতার সীমা অতিক্রম করার চেষ্টা করা হয়েছে।

চতুর্থত, যৌনকর্মকে বৈধ পেশা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যা ইসলামি মূল্যবোধ এবং সংবিধানের ২(ক) ও ২৬ অনুচ্ছেদের পরিপন্থি।

পঞ্চমত, রিপোর্টে লিঙ্গ পরিচয় এবং ট্রান্সজেন্ডার বিষয়ে যে ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে, তা শরীয়তবিরোধী এবং ধর্মীয় বিশ্বাসের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। রিটে তিনটি মন্ত্রণালয় এবং উইমেন রিফর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান বিবাদী করা হয়েছে।

বিচারপতি ফাতেমা নজিব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চে চলতি সপ্তাহে রিট আবেদনটির ওপর শুনানি হতে পারে।

 

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com