রবিবার, ০৩ অগাস্ট ২০২৫, ০৪:৪৬ পূর্বাহ্ন
নাটোর প্রতিনিধি:: সাবেক স্ত্রীর বাবাকে ফাঁসাতে নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলায় এক নিষ্পাপ ভ্যান চালককে হত্যা করার পর শ্বশুড়ের জাতীয় পরিচয়পত্র লাশের পাশে ফেলে রাখে ঘাতক। কিন্তু সফল হয়নি খুনি। অবশেষে পুলিশের হাতে আটকের পর হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করেছে ঘাতক যুবক। ৮ মার্চ বৃহস্পতিবার বিকেলে লাশটির ময়না তদন্তের পর পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অপরদিকে খুনিকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। নিহত শান্ত ফকির (১৮) নলডাঙ্গা উপজেলার মির্জাপুর তেঘরপাড়া গ্রামের জয়নাল ফকিরের ছেলে। ঘাতক একই গ্রামের শুকা শেখের ছেলে আব্দুর রশীদ(২৫)। এঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামাল জানান, বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে সদর উপজেলার ছাতনী গ্রামে যাওয়ার কথা বলে ভ্যানচালক শান্তকে ডেকে নিয়ে যায় ঘাতক আব্দুর রশীদ। রাত ১০টার পরও বাড়ি না ফেরায় খোঁজাখুজি করতে থাকে শান্তর পরিবারের সদস্যরা। এক পর্যায়ে রাত ১১টার দিকে মির্জাপুর-মাঝদিঘা সড়কের পাশে ভুতুয়া বিল এলাকায় রাস্তার পাশে তার মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয় লোকজন। খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। এসময় ঘটনাস্থলের ১০০ গজের মধ্যে থেকে ভ্যান, হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছোরা ও রশিদের সাবেক শ্বশুড়ের ভোটার আইডি কার্ড জব্দ করা হয়।
মামলার আইও এসআই মাহবুব জানান, লাশটি উদ্ধারের পর স্থানীয় লোকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, আসামী রশিদ একজন ভ্যান চালককে ডেকে নিয়ে যায়। বিষয়টি জানার পর রশিদকে আটক করা হলে সে হত্যার কথা স্বীকার করে। আসামী দাবী করে, প্রায় এক বছর আগে তার প্রথম স্ত্রীর সাথে ছাড়াছাড়ি হয়। এরপর তাকে অন্যত্র বিয়ে দেয় সাবেক শ্বশুর। এঘটনায় প্রতিশোধ নিতে শ্বশুড়ের এক আত্মীয়র যোগসাজসে সে হত্যাকান্ডটি ঘটিয়ে তার (শ্বশুড়ের) আইডি কার্ড লাশের পাশে ফেলে রাখে, যাতে তার ওপর হত্যাকান্ডের দায় পরে। এঘটনায় নিহতের বাবা জয়নাল ফকির বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে আইও মাহবুব জানান,বৃহস্পতিবার বিকেলে লাশটির ময়না তদন্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অপর আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তবে ভ্যান চালকের সাথে ঘাতকের কোন পূর্ব শত্রতা ছিলনা বলে দাবী করেন তিনি।