রবিবার, ০৩ অগাস্ট ২০২৫, ০৮:৪৪ পূর্বাহ্ন
নাটোর প্রতিনিধি:: নাটোরে আল-সান নামের বেসরকারী হাসপাতালে নার্সকে ধর্ষণ করার মামলায় মালিককে জেলে পাঠিয়েছে আদালত। রবিবার বিকেলে আসামীকে হাজির করা হলে শুনানী শেষে নাটোর অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল আদালত রবিউল ইসলাম এই আদেশ দেন। অভিযুক্ত শফিউল আলম বাবলু হাসপাতালটির মালিক ও পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
শনিবার রাতে পুলিশ তাকে আটক করে। এরপর মামলা দায়ের হলে তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
মামলার আইও মিঠুন সরকার ও সদর থানার ওসি মশিউর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মিঠুন সরকার মামলা সূত্রে জানান, শহরের আলাইপুর এলাকার বাসিন্দা এক সংখ্যালঘু নারী শহরের বড়হরিশপুর এলাকায় আল-সান হাসপাতালে নার্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। কাজের সুবিধার্থে সে একই এলাকায় তার জামাইবাবুর বাড়িতে থাকতেন। সম্প্রতি হাসপাতালের মালিক ও পরিচালক শফিউল আলম বাবলু হাসপাতালটির দ্বিতীয় তলায় নিজস্ব চেম্বারে ওই নার্সকে ধর্ষণের পর ভিডিও চিত্র ধারণ করেন। এরপর ভিডিওটি দেখিয়ে তাকে ব্ল্যাক মেইল করে বার বার ধর্ষণ করে। সর্বশেষ শনিবার রাতে শফিউল আলম বাবলু আবারো ওই নার্সের সাথে শারীরিক ভাবে মিলতে চাইলে সে রাজি হয়নি। এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে নার্সকে শায়েস্তা করার উদ্দেশ্যে বাবলু থানায় গিয়ে ওই নার্সের বিরুদ্ধে মৌখিকভাবে হয়রানির অভিযোগ করেন। এক পর্যায়ে সে তার মোবাইলে ধারণ করা ভিডিওটি দেখানোর পর সন্দেহ হলে পুলিশ তাকে আটক করে। বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে নার্স পুলিশকে বিস্তারিত বলে। এ ঘটনায় নার্স মামলা দায়ের করলে তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
এক প্রশ্নের জবাবে মামলার আইও মিঠুন সরকার দাবী করেন, ধর্ষিত নার্স বাদী হয়ে ধর্ষণসহ ৩২৩/৩৮০ পেনাল কোড ধারায় মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্তর বিরুদ্ধে রিমান্ড আবেদনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি।
বিষয়টি সম্পর্কে যোগাযোগ করা হলে ধর্ষিতার ভাই জানান, মামলা তুলে নিতে ইতোমধ্যেই তাদেরকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দেয়া হচ্ছে। ধর্ষক শফিউল আলম বাবুলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করেন তিনি।
অপরদিকে জেলা হিন্দু -বৌদ্ধ- খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাবেক সাধারন সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুশান্ত কুমার ঘোষ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ধর্ষক বাবলুর দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী করেছেন।
নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মশিউর রহমান জানান, প্রাথমিকভাবে কিছু আলমত পেয়েছি, সেগুলো যাচাই-বাছাই চলছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি দাবী করেন, বাদীপক্ষকে হুমকির বিষয়টি তিনি জানেন না। এব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।