শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:৩৮ পূর্বাহ্ন
নবাবগঞ্জ প্রতিনিধি (ঢাকা) : ডিসেম্বর মাসের শুরু থেকেই বাড়তে শুরু করেছে শীতের প্রকোপ। প্রতিবছরই এই সময়টা ঠান্ডা, জ্বর, কাশিসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয় শিশুসহ বয়স্করা। এমনকি জ্বর, ঠান্ডা কাশিসহ বিভিন্ন রোগ থেকে শিশুদের সুস্থ থাকতে পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
এদিকে শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজধানীর পাশে ঢাকার নবাবগঞ্জে বাড়তে শুরু করেছে ঠান্ডা, জ্বর ও কাশি রোগীর সংখ্যা। গেল দু’সপ্তাহ ধরে এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসব রোগীদের বেশি চিকিৎসা নিতে দেখা গেছে। প্রতিদিন সকাল ৯ টা বাজার সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকদের কক্ষের সামনে লাইনে দাড়িয়ে সেবা নিচ্ছেন রোগীরা। এমনকি অনেকদিন ঠান্ডা কাশিতে ভুগে সুস্থ না হওয়ায় এসেছেন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে।
তবে, এবছর বেশিরভাগ ঠান্ডা কাশিতে ভুগছেন শিশুসহ বয়স্করা। বৃষ্টির পর হঠাৎ কুয়াশা ও আবহাওয়ার পরিবর্তন হওয়ায় এর অন্যতম কারন বলে বলছেন চিকিৎসকরা।
যদিও নবাবগঞ্জে এবছর শীতের শুরু থেকে ঠান্ডা কাশিতে ভুগছেন অনেকেই৷ এদের মধ্যে শতকরা ৫০ ভাগ শিশু এবং বাকি ৫০ ভাগ বয়স্ক ও প্রাপ্ত বয়স্করা। তবে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, মৌসুম পরিবর্তন হওয়ায় শিশুদের সর্দি কাশি ও ঠান্ডা থেকে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। অক্সিজেনের পরিমাণ কম থাকায় অনেক শিশুদের ভর্তি করতে হচ্ছে।
ঠান্ডা কাশি থেকে বয়স্ক রোগী যাদের শ্বাসকষ্টে সমস্যা তাদের ঝুঁকি রয়েছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বয়স্ক রোগী যারা জ্বর-ঠান্ডা কাশি নিয়ে এসেছেন বেশিরভাগ শ্বাসকষ্ট সমস্যা থাকায় ভর্তি হতে হচ্ছে। তবে, ঠান্ডা- কাশি থেকে অনেক শিশু রোগী ডায়রিয়ায়ও আক্রান্ত হচ্ছে। তাদেরকে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
এখানকার চিকিৎসকরা বলছেন হঠাৎ মৌসুম পরিবর্তন হওয়ায় এসব রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। কিছুদিন পর যখন আবহাওয়া পরিবর্তন হয়ে মানুষের বডিকন্ডিশনের সাথে এডজাস্ট হয়ে যাবে তখন ধীরেধীরে ঠান্ডা কাশি রোগ কমতে থাকবে।
এদিকে নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ হরগোবিন্দ সরকার, শিশু ও বয়স্কদের বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে বলেন, ঠান্ডা-কাশি প্রতিরোধে শিশুদের অবশ্যই শীতের জামাকাপড় ব্যবহারে অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে। পাশাপাশি কোন ধরনের ঠান্ডা খাবার খাওয়া যাবে না। এমনকি ঠান্ডার পাশাপাশি অনান্য রোগে শিশু বাচ্চারা যেন আক্রান্ত না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে হাসপাতালে এসে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
এ বিষয়ে এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার শামসুল ইসলাম বলেন, মৌসুম পরিবর্তনের সাথে সাথে প্রতিবছরই জ্বর-ঠান্ডা কাশিসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয় শিশু ও বয়স্করা। বিশেষ করে এ সময়টা শিশুদের স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রেখল সতর্ক রাখতে হবে।
এছাড়া যেসব বয়স্কদের শ্বাসকষ্ট-অ্যাজমা সমস্যা তাদেরকে শীতের মৌসুমে সুস্থ থাকতে সতর্ক অবলম্বন করতে হবে। তিনি আরও বলেন, ঠান্ডা ও কাশির পাশাপাশি শিশুদের ডায়রিয়াটাও বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যাদের ঝুঁকি বেশি দেখা যায় তাদেরকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রাখা হচ্ছে। আশাকরি শীতের মৌসুমে সচেতনতাই প্রতিরোধ করা যেতে পারে এসব রোগ।