বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫, ০৩:২০ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিনিধি:: অটোরিক্সা চালক রাকিব হোসেনকে হত্যা করে পুকুরের কচুরিপানায় লাশ গুমের চেষ্টা করে দুবৃর্ত্তরা। এ ঘটনায় নিখোঁজের ২৪ ঘন্টা পর রাকিবেব গলা কাটা লাশ উদ্ধার করেছে নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ।
শুক্রবার রাত ১১ টায় ঢাকার নবাবগঞ্জের আগলা পূর্বপাড়া পুকুর হতে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত রাকিব উপজেলার গালিমপুর ইউনিয়নের শাহবাদ গ্রামের মোক্তার হোসেন ও রাজিয়া বেগমের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার গালিমপুর শাহবাদ গ্রামের রাকিব হোসেন প্রতিদিনের ন্যায় অটোরিক্সা চালাতে বের হয়। সন্ধ্যায় বাড়িতে না ফেরায় স্বজনরা খোঁজাখুজি শুরু করে। এসময় তাঁকে কোথাও না পেয়ে এবং মোবাইল সংযোগ বন্ধ থাকায় রাকিবের বড় ভাই রবিউল হোসেন নবাবগঞ্জ থানায় একটি নিখোঁজ জিডি করে। যার নম্বর ৮৩২।
জিডির সূত্র ধরে পুলিশের এস আই আব্দুর রহমান তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে রাকিবের সর্বশেষ মোবাইল কলের নম্বরটি বের করে। সন্দেহজনকভাবে এ ঘটনায় মো. ইয়াছিনকে আটক করে। পরে পুলিশের কাছে তার দেয়া তথ্যমতে কৈলাইলের মেলেং থেকে আব্দুর রহমান নামে আরো একজনকে আটক করে পুলিশ। শুক্রবার রাত ১১ টায় আটক হওয়া দুই জনকে নিয়ে দোহার সার্কেলের জেষ্ঠ্য সহকারী পুলিশ সুপার আশরাফুল আলম ও নবাবগঞ্জ থানার ওসি মমিনুল ইসলম ঘটনাস্থলে যায়। এরপর দুই অভিযুক্তর দেয়া তথ্যমতে আগলা পূর্বপাড়া টিপু মিয়ার মাছের খামার হতে রাকিবের গলাকাটা লাশটি উদ্ধার করা হয়। লাশের সুরতহাল শেষে শনিবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা পাঠানো হয়।
নিহত রাকিবের ভাই রবিউল বলেন, তাঁর ভাইকে ইয়াছিন ও রহমান পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। আমি ঘটনায় জড়িতদের ফাঁসি চাই। শাস্তি চাই।
নবাবগঞ্জ থানার ওসি বলেন, একটি নির্জন এলাকায় নিয়ে অটো চালককে গলাকেটে ও মাথায় কুপিয়ে হত্যা করে লাশ পুকুরের কচুরিপানার নিচে লুকিয়ে রাখা হয়। মনে হচ্ছে এটা পূর্ব পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।