সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫, ০৩:০৬ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিনিধি, সিলেট ॥
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র ‘সাদাপাথর’ তার পুরোনো জৌলুস ফিরে পাচ্ছে। সম্প্রতি পাথর লুটের কারণে শ্রীহীন হয়ে পড়া এই স্থানটি প্রশাসনের কঠোর অভিযানের পর আবার পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে। উচ্চ আদালতের নির্দেশে পরিচালিত অভিযানে বিপুল পরিমাণ লুন্ঠিত পাথর উদ্ধার করে পুনরায় ধলাই নদীর বুকে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে, যা দর্শনার্থীদের মধ্যে নতুন করে আগ্রহ সৃষ্টি করেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিগত কয়েক দিনের নীরবতা ভেঙে শত শত পর্যটক সাদাপাথরে ভিড় জমিয়েছেন। নৌকা নিয়ে নদীর স্বচ্ছ জলে ঘুরে বেড়ানো, সাঁতার কাটা এবং ছবি তোলার উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো। পর্যটকদের আনাগোনায় ঘাটে বাঁধা নৌকাগুলো ফের ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।
তবে, যারা আগে সাদাপাথরের সৌন্দর্য উপভোগ করেছেন, তাদের মধ্যে কিছুটা হতাশা দেখা গেছে। তাদের মতে, আগের মতো বিপুল পরিমাণ পাথর এখন নেই, ফলে সৌন্দর্য কিছুটা ম্লান হয়েছে। কিন্তু প্রথমবারের মতো যারা এসেছেন, তাদের চোখেমুখে ছিল অপার আনন্দ। যেটুকু পাথর আছে, তাতেই তারা মুগ্ধ।
এদিকে, সিলেটের জেলা প্রশাসন সাদাপাথরকে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনার ঘোষণা দিয়েছে, যা পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। এই উদ্যোগের খবর জেনে তারা বেশ খুশি। পর্যটকরা মনে করেন, নদী, পাথর আর পাহাড়ের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা সিলেটের সব পর্যটন কেন্দ্র রক্ষায় সরকারের আরও সচেতন হওয়া উচিত।
পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসা প্রবাসী মাহিদুল ইসলাম বলেন, “পাথর লুটের পরও যদি সাদাপাথরের এমন রূপ হয়, তাহলে এর আগের সৌন্দর্য কেমন ছিল তা সহজেই অনুমেয়। আমার ছেলে ও স্ত্রী মুগ্ধ হয়ে আবার আসার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে।” তিনি সরকার ও স্থানীয়দের আরও আন্তরিক হওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব সিলেট (টোয়াস)-এর আহ্বায়ক হুমায়ূন কবীর লিটন বলেন, “সাদাপাথরের যে ক্ষতি হয়েছে তা সহজে পূরণ হওয়ার নয়। তবে, এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত সিলেটের অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রগুলোর সুরক্ষায় আরও মনোযোগ দেওয়া।”