শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫, ০৭:৪৬ অপরাহ্ন
ফরিদ আহমেদ,দৌলতপুর,কুষ্টিয়া॥ কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার তারাগুনিয়া এলাকায় বেসরকারি একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। নিহত নারীর নাম মোছাম্মদ মুন্নি খাতুন (২০)। তার স্বামীর নাম মোহাম্মদ আয়নাল আলী, বাড়ি রিফাতপুর লক্ষীখোলা গ্রামে। মুন্নির বাবার নাম মোহাম্মদ মঞ্জু শেখ ও মা মোছাম্মদ বাচেনা খাতুন, তারা তারাগুনিয়া সরদারপাড়া খান গ্রামের বাসিন্দা।
জানা যায়, অদ্য ৭ জুলাই ২০২৫ ইং তারিখে রাত আনুমানিক ৮:৩০টার দিকে মুন্নিকে সিজার অপারেশনের জন্য দৌলতপুর থানাধীন তারাগুনিয়া ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। পরে রাত ৯টার দিকে তাকে অস্ত্রোপচারের জন্য অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়। রাত ১০:৪৫ মিনিটে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মোহাম্মদ সফের আলী তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, মাত্র এক মাস আগেই, গত ৮ জুন ২০২৫ তারিখে একই ক্লিনিকে এক প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। ফলে একই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তিতে জনমনে আতঙ্ক ও ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, ক্লিনিকটির চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা ও তদারকি নিয়ে আগে থেকেই নানা প্রশ্ন ছিল। বারবার এমন ঘটনা ঘটায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারির অভাব স্পষ্ট। তারা দ্রুত তদন্তপূর্বক কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নাজমুল হুদা জানান, প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় উভয় পক্ষ বসে শালিসের মাধ্যমে একটি সমঝোতায় পৌঁছেছেন। তবে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে।