বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:২৪ অপরাহ্ন
নবাবগঞ্জ প্রতিনিধি:: ঢাকার দোহার-নবাবগঞ্জ উপজেলায় তীব্র শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। বিশেষ করে প্রত্যান্ত এলাকার খেটে খাওয়া কৃষক দিনমজুর মানুষ কষ্টে দিন পার করছেন।
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি। তীব্র শীতে জবুথবু হয়ে পড়েছেন মানুষ।
ঢাকার নবাবগঞ্জ সদরে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সালাম জানান, সকাল ৯টায় তীব্র শীতের কারণে অনেকেই এখনও বাড়ি থেকে বের হয়নি। তাই বাজারে বেচা কেনা খুবই কম।
বাগমারা বাজারে সবজি বিক্রেতা জানান, প্রতিদিন ভোর সাড়ে ৫টায় বের হই। কিন্তু গত কয়েকদিন তীব্র শীতের কারণে আজ একটু দেরিতে বের হয়েছি। অথচ, আজ মনে হচ্ছে শীতের তীব্রতা আরও বেশি।
অপরদিকে, তীব্র শীতের কারণে প্রতিটি হাটবাজার ও মার্কেটে গরম কাপরের বিক্রি বেড়েছে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ব্যবসায়ীরা।
এ দিকে কনকনে শীতে সর্দি, কাশি ও হাপানিজনিত রোগের প্রাদুর্ভাবও দেখা দিয়েছে দোহার ও নবাবগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে। বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে শিশু ও বয়স্কদের।
এ বিষয়ে নবাবগঞ্জের পল্লী চিকিৎসক ডাঃ আবু তালেব বলেন, তীব্র শীতের কারনে ঠান্ডা জনিত রোগীর সংখ্যা একটু বেশী মনে হচ্ছে। শনিবার সকালে ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্যদিকে, শুক্রবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৮ দশমিক ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান মাত্র ৪ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকা ছাড়া রংপুর ও রাজশাহী অঞ্চলেও সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পার্থক্য ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মতো। উত্তরাঞ্চলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের। কাছাকাছি। তাই সেখানে শীতের তীব্রতা আরও বেশি জানা গেছে।