বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:৩৭ অপরাহ্ন
দোহার (ঢাকা) প্রতিনিধি : ঢাকার দোহার উপজেলার মুকসুদপুর ইউনিয়নের ধীৎপুর এলাকায় ১৬ জানুয়ারি মঙ্গলবার রাতে জুলহাস উদ্দিনের বাড়ীর মূল ফটক ও ঘরে তালাবদ্ধ করে চতুর্দিকে পেট্রোল ঢেলে আগুন জালিয়ে দেয় দুর্বত্তরা। এসময় ঘরে থাকা ৫ জনই আগুনে ঝলসে যায়। বিভিন্ন গনমাধ্যমে এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশিত হলে, র্যাব ১০ অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে আশুলিয়া থেকে ঘটনার মূলহোতাসহ ১ সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে।
দোহার থানা পুলিশ সূত্র জানায়, জুলহাস উদ্দিনের বসত বাড়ীতে ওই দিন রাতে আগুন দেওয়ার ঘটনায় জুলহাসের ভাই বাদি হয়ে দোহার একটি মামলা দায়ের করে। মামলার সূত্র ধরে ও বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করে র্যাব-১০ যৌথ অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত এবং মূলহোতা ধীৎপুর এলাকার সুলতান শেখের ছেলে মো. রুবেল ও তার সহযোগী একই এলাকার বাসিন্দা নুরু শেখের ছেলে রানা মাহমুদকে গ্রেফতার করা হয়। অন্যদের বিষয়ে অভিযান চলমান আছে।
অপরদিকে এঘটনায় র্যাব-১০ গনমাধ্যমকে শুক্রবার দুপুরে জানায়, গ্রেফতারকৃত রুবেল পেশায় একজন কাঠ মিস্ত্রি। দীর্ঘদিন যাবত জুলহাসের বাড়িতে বসবাস করতো। হঠাৎ জুলহাস রুবেলের গতিবিধি ভালো না হওয়ায়, তাকে অন্যস্থানে চলে যাওয়ার অনুরোধ করেন এই নিয়ে রুবেল ও জুলহাসের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয় এবং রুবেল জুলহাসকে দেখে নেওযার হুমকিও দেন। তার ১৪ দিন পরই রুবেল ও তারসহযোগীরা তার পরিবারের লোকদের হত্যা করতে ১৬ জানুয়ারি মঙ্গলবার রাতে জুলহাস উদ্দিনের বাড়ীর মূল ফটক ও ঘরে তালাবদ্ধ করে চতুর্দিকে পেট্রোল ঢেলে আগুন জালিয়ে দেয় বলে গ্রেফতারকৃত রুবেল র্যাব-১০ এর কাছে স্বিকার করেছে।
ঘটনায় জুলহাস উদ্দিন শেখ, তার স্ত্রী ফাহিমা আক্তার, মেয়ে জান্নাত ,ছেলে জুনায়েদ ও ভাতিজি তাবাসসুম বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। ওইদিন রাতে আগুনে জুলহাসের ঘরে থাকা প্রায় ৩ লাখ টাকার আসবাপত্র পুড়ে যায় বলে স্বজনরা জানিয়েছেন।
এঘটনায় দোহার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আলমগীর হোসেন, দোহার থানার ওসি হারুন অর রশিদসদ সহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের লোকজন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ও দোহার থানায় মামলা হয়। দুজনকে গ্রেফতারের বিষয়ে র্যাব-১০ এর উপপরিচালক আমিনুল ইসলাম শুক্রবার দুপুরে গনমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন।