রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫, ১২:১৭ অপরাহ্ন
নবাবগঞ্জ-দোহার প্রতিনিধি:: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের এক দফা দাবিতে ঢাকার দোহার উপজেলার করম আলীর মোড় এবং কার্তিকপুর থেকে বাঁশতলা এলাকায় রোববার বেলা সাড়ে ১১ টার সময় একটি মিছিল বের করে। এসময় ছাত্রলীগ ও পুলিশ তাঁদের বাধা দেয় বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। পরে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। ১ ঘন্টা পরে আবার বিএনপি, জামায়াত শিবির ও শিক্ষার্থীরা মিছিল বের করে।
এসময় বাধার মুখে ৪ শিক্ষার্থী ও ৩ পথচারীসহ ৭ জন আহত। বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা বাঁশতলা এলাকায় ৬টি মটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় সাংবাদিকদেরও ২টি মটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়। করিমগঞ্জ এলাকায় পুলিশের গাড়ী লক্ষ্য করে তাঁরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে পুলিশের গাড়ীর গ্লাস ভেঙ্গে যায় বলে দোহার থানার ওসি তদন্ত আজহারুল ইসলাম জানান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকাল ১১ টা থেকে কোটা আন্দোরনে সমর্থন জানিয়ে দোহারের শিক্ষার্থীরা করম আলীর মোড়ে জমায়েত হয়। অপরদিকে কার্তিকপুর হতে আরেকটি গ্রুপ মিছিল নিয়ে উপজেলার দিকে আসতে থাকে। বাশঁতলা নামক স্থানে আসলে শিক্ষার্থী ও জামায়াত কর্মীদের সাথে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। নেতাকর্মীদের ৬টি মটরসাইকেল ভাংচুর করে ও আগুন দেয়। পরে উপজেলা যুবলীগ সাধারন সম্পাদক আব্দুর রহমান আকন্দের বাসা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চর জয়পাড়া জহির চেয়ারম্যানের মোড়ে হামলা চালায় বিক্ষুদ্ধ ছাত্ররা। এছাড়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোঃ আলমাস উদ্দিনের অফিসেও হামলা করে তাঁরা। পরে উত্তেজিত সাধারণ শিক্ষার্থী ও বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা থানা ঘেরাও করার চেষ্টা করে। এসময় দোহার থানা পুলিশ বাধা দিলে বিক্ষোভকারীরা পিছু হটে। আহতরা দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা নেয়।
দোহার থানার ওসি হারুন অর রশিদ বলেন, পরিস্থিতি এখন শান্ত আছে। জনগনের জান-মাল ও শান্তি শৃংখলা রক্ষায় পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। তবে নাশকতা ও শান্তি শৃংখলার অবনতি করার চেষ্টা করলে পুলিশ অবশ্যই ব্যবস্থা নেবে।