মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫, ০২:১৭ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক:: আইন বিচার ও সংসদ মন্ত্রণালয়ের অধীন নিবন্ধন অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিআর) খান মো. আব্দুল মান্নান ও তার স্ত্রী শাকিলা বেগমের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা ও জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বøকের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
দৈনিক নিখাদ খবর নামক একটি পত্রিকায় প্রকাশিত খবর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে, খান আব্দুল মান্নান ঢাকার দোহার উপজেলার মুকসেদপুর এলাকার বাসিন্দা। বিগত সরকার আমলে তিনি সাবেক শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের ঘনিষ্টজন হিসেবে পরিচিত। সালমান এফ রহমানকে ২০১৮ সালে দোহার জয়পাড়া পাইলট স্কুল মাঠে আয়োজিত গণসংবর্ধনার মূল উদ্যোক্তা ছিলেন এ সাবেক আইজিআর আব্দুল মান্নান। তাঁকে দোহারের মানুষ জজ মান্নান হিসেবে চিনে। সেই সময় তিনি ব্যাপক দাপটের সাথে চলেছেন। ৫ আগষ্টের পর তিনি গা ঢাকা দিয়েছেন।
দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (২৭ মে) ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত এ আদেশ দেন। দুদকের সহকারী পরিচালক মো. সহিদুর রহমান নিষেধাজ্ঞা ও ব্লকের আবেদন করেন।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আবেদনে বলা হয়, সাবেক মহাপরিদর্শক (নিবন্ধন) খান মো. আবদুল মান্নান ও অন্যদের বিরুদ্ধে সাব-রেজিস্ট্রার নিয়োগ-বদলী, বদলী স্থগিত এবং প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন কর্মচারীদের নিয়োগ ও বদলীসহ কয়েকশ নকল নবীশ নিয়োগ, কয়েক হাজার দলিল লেখকের লাইসেন্স বা সনদ বিক্রয়ের মাধ্যমে কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। অনুসন্ধানের বিষয়টি রাষ্ট্রের স্বার্থে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধে অতীব গুরুত্বপূর্ণ।
অনুসন্ধানকালে গোপন সূত্রে জানা যায়, অভিযোগ সংশ্লিষ্টরা বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তারা বিদেশে পালিয়ে গেলে অনুসন্ধান কার্যক্রম দীর্ঘায়িত বা ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাদের বিদেশ গমন রহিত করা একান্ত প্রয়োজন। এ ছাড়া বর্তমানে বাংলাদেশে স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ হস্তান্তর, আয়কর রিটার্ন দাখিল, পাসপোর্ট ইস্যুনবায়ন, ব্যাংক হিসাব খোলা-পরিচালনাসহ যাবতীয় কার্যক্রম তথা নাগরিক সুবিধা যেহেতু জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে সম্পাদিত হয়। সেহেতু অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্র ব্লক করা হলে এ সমস্ত কাজ সম্পন্ন সম্ভব হবে না। এ জন্য তার জাতীয় পরিচয়পত্র ব্লক করা একান্ত প্রয়োজন।
এ বিষয়ে খান আব্দুল মান্নানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি। তার মুঠোফোন সচল থাকলেও রিসিভ করেননি।