রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫, ০৬:১১ অপরাহ্ন
সাদের হোসেন (বুলু), নবাবগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি:: সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে গত ৭ জুলাই সকাল সাড়ে সাতটায় কর্মস্থলে যাওয়ার পথে গাড়ি বিস্ফোরিত হয়ে ঘটনাস্থলে নিহত হয় পাঁচ বাংলাদেশি। তাঁদের লাশ শুক্রবার গ্রামের বাড়িতে পৌঁছায় বেলা ৩টায়। এসময় নিহতের স্বজনরা কাঁন্নায় মূর্চ্ছা যায়। অনেকেই চিৎকার করে কাঁন্না করতে থাকে। সারা এলাকায় শোকের ছাঁয়া নেমে আসে। কাঁন্নায় ওই এলাকার বাতাস যেন মুর্হুতের মধ্যে ভারি হয়ে উঠে।
এঘটনায় ঢাকার নবাবগঞ্জের বালেঙ্গা গ্রামের চারজন ও দোহার উপজেলার দোহার বাজার এলাকার একজন নিহত হয়। নিহত ৪ জনের নামাজে জানাযা বাদ আসর বালেঙ্গা বাজার মসজিদ চত্বরে সম্পন্ন হয়। জানাজা শেষে চারজনকেই স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়। এসময় নামাজের জানাযায় ইমামতি করেন মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস।
বৃহস্পতিবার রাত ১২টায় তাঁদের মরদেহ বিমানে উঠে। শুক্রবার সকাল ৮টায় বাংলাদেশ বিমান বন্দরে পৌছায় বলে জানা গেছে। বেলা তিনটায় কফিনবাহী ৪টি লাশের গাড়ী পৌছে বালেঙ্গা গ্রামে।
লাশবাহী এ্যাম্বুলেন্স
লাশ পৌঁছানোর আগেই নয়াবাড়ী ইউনিয়নের বালেঙ্গা, ধোয়াইর, পানকুন্ড, অরঙ্গাবাদ, রাজাপুরসহ আশপাশের গ্রামের কয়েক হাজার লোক ভীড় জমায়। প্রবল বৃষ্টি উপক্ষো করে স্বজনদের লাশ এক নজর দেখতে সকলেই উম্মুখ হয়ে পড়ে। এসময় এখানকার পরিবেশ যেন বৃষ্টির পানির সাথে স্বজন হারাদের চোখের জলে একাকার হয়ে যায়। বুক চাপড়ে কান্না করছে নিহত রাশেদের ছোট বোন। স্বজনরা যেন কোনোভাবেই তাঁদের কান্না থামাতে পারছে না। করোই যেন সান্তনা দেওয়ার ভাষা নেই।
দুবাইতে গাড়ি বিস্ফোরিত হওয়ার ঘটনায় নিহতরা হলেন, নবাবগঞ্জের জয়কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের বালেঙ্গা গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে মো. রানা (৩০), আবদুল হাকিমের ছেলে মো. রাশেদ (৩২), শেখ ইরশাদের ছেলে মো. রাজু (২৪), শেখ ইব্রাহিমের ছেলে ইবাদুল ইসলাম (৩৪) ও দোহার বাজার এলাকার মো. মঞ্জুরের ছেলে মো. হীরা মিয়া (২২)। পাঁচজনই একই প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন।
নিহত রানার বাবা লুৎফর রহমান বলেন, বাবার কাধে সন্তানের লাশ। এমন পরিস্থিতি যেন করো না হয়। আল্লাহ আমাদের ছেলেদের জীবনের সব ভুল ক্ষমা করুক।