রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:৪০ পূর্বাহ্ন
কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:: গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার দক্ষিণ মৌচাক এলাকায় গত ২৫ বছর ধরে দলিলে একদাগ দখলে আরেক দাগ দেখিয়ে কৌচাকুড়ি মৌজার প্রায় সত্ত্বর শতাংশ জমি জরব দখল করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষ কামাল গংদের বিরুদ্ধে। এবিষয়ে হেবা দলিল মুলে মালিক একই এলাকার দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে জমি উদ্ধারের বিষয়ে স্থানীয় মাতাবর, রাজনৈতিক নেতা, পুলিশ সুপার ও ওসির দ্বারস্থ হয়েও কোন সুরহা হচ্ছে না বলে জানান। গত কয়েকদিন ধরে জোড়পূর্বক ২৫ বছর ধরে দখলে রাখা জমির গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে। অবৈধভাবে দখলে নেওয়া জমিতে দ্রুত পাকাপক্ত স্থাপনা করার চেষ্টা করছে।
বাদীর অভিযোগে জানা যায়, কৌচাকুড়ি মৌজার এসএ ১৫০৩ এবং আরএস ৩২৮৬ দাগের ৭০ শতাংশ জমি রেকর্ডীয় মালিক হয়ে কফিল উদ্দিন গংরা মালিক হন। সেই জমি কয়েক ধাপে ক্রয়সূত্রে মালিক হন কামরুল আহাম্মেদ, মুজিয়া মোর্শেদ, এসএনজেবি কবির ও আসিয়া রহমান। ক্রয়কৃত জমির মালিকদের কাছ থেকে গত ২০১৭ সালের নভেম্বরের ৮ তারিখে ৭০ শতাংশ জমি হেবামুলে মালিক হন দক্ষিণ মৌচাক জামতলা গ্রামের রমিজ উদ্দিনের ছেলে দেলোয়ার হোসেন।
অভিযোগকারী জমির মালিক হয়ে যখন জমি বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করেন, তখন গত ২৫ বছর ভুল দাগে ভোগকারী কামাল হোসেন গংরা বাধা দেন। এ বিষয়টি নিয়ে এলাকায় একাধিক গ্রাম্যশালিশ বসলেও কামাল হোসেন গংরা জমি ছাড়তে অস্বীকৃতি জানান।
গত ২৬ জুন এবিষয়ে কালিয়াকৈর থানায় দুইপক্ষের লোকজন ও আইনজীবি নিয়ে মীমাংসার জন্য বসেন। সেখানে ওসি মনোয়ার হোসেন চৌধূরি দুইপক্ষের কথা শুনে এবিষয়টি মিমাংসার জন্য আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে শালিশ শেষ করেন। কিন্তু করোনার কারণে আদালত বন্ধ থাকায় অভিযুক্তরা দ্রুত জমির গাছ কেটে এবং স্থাপনা তৈরি করার অপচেষ্টা করছে। এ বিষয়ে অভিযোগকারী বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে প্রতিনিয়তই প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।
জমি দখলকারী কামাল হোসেন জানান, আমরা ২৫বছর ধরে ভোগ দখল করে আসছি। আমাদের সব কাগজপত্র রয়েছে। অভিযোগকারী বানোয়াট কাগজ তৈরি করে আমাদের জমি জবর দখলের চেষ্টা করছে।
অভিযোগকারী দেলোয়ার হোসেন জানান, দখলকারীদের দখলীয় জমির দাগ ঠিক নেই। তাদের দলিল এক দাগে আর দখল করে রয়েছেন আরেক দাগে। কৌচাকুড়ি দাগের ৩২৮৬ দাগে তাদের কোন জমি না থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে প্রভাব খাটিয়ে দখল করে নিয়েছে।
উপজেলা যুবলীগের সভাপতি হিরো মিয়া জানান, এ বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার বসা হয়েছিলো। দুই পক্ষের জমির দাগ অদলবদল হয়েছে। এটা দলিলের মাধ্যমে দাগ পরিবর্তনের দলিল করে দিলেই আর কোন ঝামেলা থাকবে না।
কালিয়াকৈর থানার ওসি মনোয়ার হোসেন চৌধুরি জানান,গত শনিবার এ জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বসা হয়। দুই পক্ষের আইনজীবির মাধ্যমে বিষয়টি বুঝে আদালতের মাধ্যমে মীমাংসা করার জন্য পরামর্শ দিয়ে যে যে অবস্থানে রয়েছে, সেই ভাবে থাকার জন্য বলে দেই।