বৃহস্পতিবার, ৩১ Jul ২০২৫, ০৮:১১ অপরাহ্ন
নীলফামারী প্রতিনিধি:: পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, তিস্তা মহাপরিকল্পনা এ বছরের শেষ নাগাদ চূড়ান্ত হবে। এরই মধ্যে মাঠ পর্যায়ের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) সকালে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে পৌঁছে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, তিস্তা মহাপরিকল্পনা মূলত চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে একটি যৌথ উদ্যোগ। তাই এই দুই দেশকেই রাজি করাতে হচ্ছে। অগ্রগতি ইতোমধ্যে আশাব্যঞ্জক পর্যায়ে পৌঁছেছে। আমরা আমাদের জাতীয় পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছি। চীনের পক্ষ থেকে যে প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে মাঠপর্যায়ে পাঁচ দফা আলোচনা সম্পন্ন হয়েছে। এসব আলোচনার প্রেক্ষিতে আমরা আমাদের মতামত চূড়ান্ত করেছি। আগামী ১৭ জুলাই বিষয়টি নিয়ে বিশেষজ্ঞ পর্যায়ে আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের এই উপদেষ্টা বলেন, মাঠপর্যায়ের আলোচনার মন্তব্যসহ একটি চূড়ান্ত মতামত প্রণয়ন করা হয়েছে। এরপর প্রস্তাবনাটি সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হবে এবং ইকোনমিক রিলেশনস ডিভিশন (ইআরডি) এর মাধ্যমে এটি চীনা কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে। চীন তা বিশ্লেষণ করে একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন দেবে। আশা করছি, সব প্রক্রিয়া শেষ করে এ বছরের শেষ নাগাদ তিস্তা মহাপরিকল্পনা চূড়ান্ত করা সম্ভব হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- নীলফামারীর জেলা প্রশাসক মো. নায়িরুজ্জামান, সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুর-ই-আলম সিদ্দিকীসহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা। পরে উপদেষ্টা সড়ক পথে কুড়িগ্রামের উদ্দেশে রওনা হন।
সকাল ১১টার দিকে কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলায় তিস্তা নদীর তীরবর্তী ঘড়িয়ালডাঙ্গা খিতাবখা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় নদীর বাম তীরে পূর্ব সতর্কীকরণ কাজ পরিদর্শনে শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পানিসম্পদ উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, সরকার তিস্তা চুক্তি বাস্তবায়নে ২০১১ সাল থেকেই কাজ করছে। তবে, এখনো চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়নি, প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। তিস্তা যেহেতু আমাদের নদী, ভাটির দেশের জনগণ হিসেবে এ নদীর ওপর আমাদেরও অধিকার আছে। এই অধিকার রক্ষা ও জনপদ, জনগোষ্ঠী ও দেশের স্বার্থে কীভাবে নদীটিকে টিকিয়ে রাখা যায়, সেটাই আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ।