বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:৫৮ পূর্বাহ্ন

তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে, হাজার হাজার পরিবার পানিবন্দি

লালমনিরহাট প্রতিনিধি:: ভারী বর্ষণ ও উজানের ভারী ঢলে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে লালমনিরহাটের পাঁচ উপজেলার তিস্তার চরাঞ্চল ও তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের অন্তত পাঁচ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। ডুবে গেছে রাস্তাঘাট, পানিবন্দী হয়ে পড়ছে বেশ কিছু এলাকা।

সোমবার (১৯ জুন) সকাল ৬টায় ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫ সে.মি. অপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পরে সকাল নয়টায় ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৫ সে.মি. নিচে রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে রোববার (১৮ জুন) সন্ধায় তিস্তার ব্যারাজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ২৩ সে. মি নিচে রেকর্ড করা হয়।

ডালিয়া পয়েন্টের ভাটি এলাকায় নতুন করে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিস্তা ও ধরলার পানি বৃদ্ধিতে জেলার পাটগ্রামের দহগ্রাম, হাতীবান্ধার গড্ডিমারী,দোয়ানী,ছয়আনী, সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর, বাঘের চর, ফকিরপাড়া ইউপির রমনীগঞ্জ, সিঙ্গামারি ইউনিয়নের ধুবনী, সিন্দুর্না ইউপির পাটিকাপাড়া,হলদিবাড়ী, ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা,পলাশী ও সদর উপজেলার ফলিমারীর চর খুনিয়াগাছ,রাজপুর,গোকুণ্ডা ইউনিয়নের তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করায় প্রায় পাঁচ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

এতে তীরবর্তী এলাকায় রাস্তা ডুবে যাওয়ায় চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। বিপাকে পড়েছে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও গরু-ছাগল ও পোষাপ্রাণী নিয়েও ভোগান্তিতে পড়েছেন পানিবন্দী লোকজন। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় শুকনো খাবার ও স্যানিটেশন সমস্যায় পড়বে হাজারো মানুষ।

গোবর্ধন হায়দারিয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, কাল থেকে পানি বাড়তেছে। স্কুলে যাওয়ার রাস্তায় পানি উঠেছে। তাই পানিতে ভিজে স্কুলে যাচ্ছি।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ বলেন, কিছুটা পানি বৃদ্ধি পেয়েছে, তা আবারও কমে গেছে। আমরা সবসময় খোজখবর রাখছি। পরিস্থিতি মোকাবিলায় যাবতীয় প্রস্তুতি রয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com