শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫, ০২:৩৬ পূর্বাহ্ন
রূপগঞ্জ প্রতিনিধিঃ রূপগঞ্জের ভুলতা গাউছিয়া এলাকায় ফুটপাত ও মহাসড়কে চলে চোর পুলিশের খেলা, একদিকে পুলিশ ফুটপাতের ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ করে, অন্য দিকে দখলে নেয়। এখানে তিন ধরনের আইনশৃখংলার বাহিনী যেমন কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশ, জেলা পুলিশ ও ফাঁড়ির পুলিশ থাকলেও এরা কোনভাবেই মহাসড়ক দখলমুক্ত করতে পারছে না।
ফুটপাত নিয়ে পুলিশ বলেন, তারা দিনরাত ফুটপাত দখলমুক্ত করার জন্য সকাল বিকাল চেষ্টা করে যাচ্ছে, কিন্তু ফুটপাত দখলমুক্ত করা সম্ভব হচ্ছেনা তারা আরো বলেন, আমরা একদিকে পরিস্কার করে যাই তারা কিছু সময়ের মধ্যেই সড়কটি আবার দখল করে ফেলে। এ যেন চোর পুলিশের খেলার মত ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে।চোর পুলিশের খেলার অবসান চায় এলাকাবাসী। তারা অভিযোগ করেন। এ খেলায় লাভবান হচ্ছে পুলিশ আর সরকার দলীয় নেতারা।
এলাকাবাসী জানান, ফুটপাতের হকারদের কাছ থেকে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করে নিচ্ছে চাঁদাবাজরা। ৩১ জানুয়ারী রবিবার সকাল ১০টায় ফাঁড়ি পুলিশের একটি দল গোলাকান্দাইল চৌরাস্তা থেকে তাঁতবাজার পর্যন্ত পুরো এলাকা দখলমুক্ত করেন। দখলভুক্ত করার ঠিক আধাঘন্টা পরে আবার ঢাকা সিলেট মহাসড়কের আব্দুল হক ও তাঁতবাজার এলাকার সামনের মহাসড়ক ও ফুটপাতটি দখলে নেয় ভ্যানগাড়ীর ব্যবসায়ীরা। ফুটপাত দখলে নেয়ার সাথে সাথেই গোলাকান্দাইল চৌরাস্তার বেবীট্যাক্সি ষ্ট্যান্ডটিও দখল করে নেয় ট্যাক্সীচালকরা। এখানে যেন চলতে থাকে দখলের মহা উৎসব। যদিও বেবীট্যাক্সি ষ্ট্যান্ড হাইওয়ে পুলিশ বক্স সংলগ্ন। সচেতন মহল মনে করেন এখানে পুলিশ বক্স থাকার পরও কেন তারা কিছু বলে না। এর পিছনে পুলিশের যোগসাযোগ আছে কি না এটা ক্ষতিয়ে দেখা দরকার। কেন তারা বক্সে থাকার পরও এখানে অভিযানের সময় ছাড়া কিছু বলেন না।মহাসড়কে ভ্যানগাড়ি ও ফুটপাতের ব্যবসাসীরা দখল করায় মহাসড়কে দীর্ঘ জানজটের সৃষ্টি হয়। ফলে ভুগান্তি স্বিকার হচ্ছে পথচারী ও যানজটে আটকে পড়া পরিবহন যাত্রীরা।
এলাকাবাসীর অভিযোগ ভুলতা এলাকায় পুলিশ ফাঁড়ি তার পরও ফাঁড়ির সামনে মহাসড়কে ফুটপাত, ওদিকে গোলাকান্দাইল চৌরাস্তায় রয়েছে হাইওয়ে পুলিশ বক্স, এর পরও এখানে কেন বাধবে যানজট, কেনই বা মহাসড়ক দখল করে বসবে ভ্যানগাড়ির বিশাল লাইন। সব মিলে আইনশৃংখলার চরম অবনতি হয়েছে বলে দাবী করেন সচেতনমহল । নানা সমস্যায় জর্জরিত এলাকাটি যেন দেখার কেউ নেই, এখানকার গুটি কয়েক পুলিশের নিস্কৃয়তায় বাহিনির বদনাম এটা সহজে কেউ মেনে নিতে পারে না। উর্ধতন কতৃপক্ষের দৃষ্টি একান্তভাবে কামনা করেন এলাকার সচেতনমহল।