বুধবার, ৩০ Jul ২০২৫, ০৭:৪৩ অপরাহ্ন

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে সীমানা বিরোধ নিয়ে ভাতিজার হাতে চাচা খুন

নিজস্ব প্রতিনিধি ।।
রবিবার (৩১ মার্চ) রাতে মির্জাপুর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের কুরনী গ্রামের কাজীপাড়ায় বসত বাড়ির সীমানা বিরোধের জের ধরে ভাতিজা কাজী কামরুজ্জামান পলাশ তার বড় চাচা কাজী আলমকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

কাজী কামরুজ্জামান পলাশ ঢাকার আগারগাও এলজিইডিতে কর্মরত আছেন বলে তার মা কহিনুর বেগম জানিয়েছেন। নিহত কাজী আলম কুরনী গ্রামের মৃত কাজী মোকছেদের ছেলে ও মির্জাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রাক্তন স্বাস্থ্য পরিদর্শক।

পরিবারিক সূত্র ও এলাকাবাসী জানায়, বাড়ির সীমানা নিয়ে দুই ভাই কাজী আলম ও কাজী রফিকুল ইসলাম বাবুলের সঙ্গে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে গত এক সপ্তাহ যাবত ঝগড়া চলছিল। বিষয়টি কাজী রফিকুল ইসলাম বাবুলের ছেলে প্রকৌশলী কাজী কামরুজ্জামান পলাশ জানতে পেরে রবিবার বিকেলে বাড়ি আসেন। সন্ধায় ধারালো অস্ত্র নিয়ে চাচা কাজী আলমের পরিবারকে গালিগালাজ ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে থাকেন।

বিষয়টি জানতে পেরে ইফতারের আগ মুহূর্তে আশপাশের বাড়ির লোকজন ওই বাড়িতে গিয়ে উভয় পক্ষকে শান্ত করেন। সন্ধ্যার পর পলাশ কাজী আলমের ঘরের জানালা দিয়ে শুকনা মরিচের গুড়া মেশানো পানি ঘরের ভেতর ছুরে মারেন। রাত সাড়ে আটটার দিকে কাজী আলম এশার নামজ শেষে নাতি মারুফকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি এসে কবুতরের ঘর আটকাচ্ছিলেন। এসময় পলাশ পেছন থেকে তাকে শুকনা মরিচের গুড়া মেশানো পানি ছুড়ে মারেন।

কাজী আলম মরিচের যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকেন। পরে পলাশ তাকে লাঠি দিয়ে এলোপাতারি পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। দাদা-নাতির চিৎকারে বাড়ির লোকজন ঘর থেকে বেরিয়ে তাকে উদ্ধার করে কুমুদিনী হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হয়। সেখানে ভোর চারটার দিকে তার মৃত্যু হয়।

নাতী মারুফ জানায়, দাদার সঙ্গে রাতে নামাজ শেষে বাড়ি আসি। দাদা কবুতরের ঘর আটকাতে গেলে পলাশ চাচা মরিচের গুড়া মেশানো পানি ছিটিয়ে লাঠি দিয়ে মেরেছে।

কাজী কামরুজ্জামান পলাশের মা কহিনুর বেগম জানান, বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে কাজী আলমের পরিবারের লোকজন আমাকে মারপিটও করে। এ খবর পেয়ে ছেলে রবিবার বিকেলে বাড়ি আসে। কোথা থেকে ছেলে মরিচের গুড়া সংগ্রহ করেছে তা আমার জানা নেই। আমার ছেলে মরিচের গুড়া মেশানো পানি শরীরে দিয়ে চাচাকে পিটিয়েছে এটা সত্য। আমার ছেলেকে বাঁচান।

মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রেজাউল করিমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে কেউ পুলিশের কাছে অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com