মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:১৭ পূর্বাহ্ন

টাইগাররা লজ্জার রেকর্ড গড়ে বড় ব্যবধানে হারলো

স্পোর্টস ডেস্ক:: ডারবানে অনুষ্ঠিত দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার দেয়া ২৭৪ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৫৩ রানেই গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশের ইনিংস। তাতেই লজ্জার রেকর্ড গড়েছে টাইগাররা। আন্তর্জাতিক টেস্টে দ্বিতীয় ইনিংসে এটাই বাংলাদেশের সর্বনিম্ন স্কোর। এই ম্যাচে মুমিনুল হকরা হেরেছে ২২০ রানের বড় ব্যবধানে।

এর আগে দ্বিতীয় ইনিংসের বাংলাদেশের সর্বনিম্ন সংগ্রহ ছিল ৮৬ রান। কলম্বোতে ২০০৫ সালে এই রেকর্ডটি গড়েছিল বাংলাদেশ দল। আর দুই ইনিংস মিলিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সর্বনিম্ন রান হলো মাত্র ৪৩। ২০০৭ সালে নর্থ সাউদ গ্রাউন্ডে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এই লজ্জার রেকর্ডে নাম লিখিয়েছিল টাইগাররা।

ম্যাচের চতুর্থ দিনে বাংলাদেশি বোলারদের দাপুটে বোলিং মাত্র ২০২ রানে থেমে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস। জয়ের জন্য বাংলাদেশের দরকার পড়ে ২৭৪ রান। হাতে তখনই সাড়ে তিন সেশন রয়েছে।

এমতাবস্থায় জয়ের স্বপ্নই দেখছিলেন রাসেল ডোমিঙ্গোর শিষ্যরা। কিন্তু চতুর্থ দিন শেষ বিকেলের খেলায় ব্যাটিং নেমেই থমকে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। আলোকস্বল্পতার কারণে খেলা বন্ধ হওয়ার আগে মাত্র ৬ ওভার ব্যাট করে ১১ রান তুলতেই হারিয়ে বসে ৩ উইকেট।

তাই পঞ্চম এবং শেষ দিনে ড্র করার জন্য বাংলাদেশকে সারাদিন ব্যাট করতে হতো। আর জিততে দরকার ছিল ২৬৩ রান। কিন্তু জেতা তো দূরের কথা, ড্র করতে পারেনি সফরকারীরা। শেষদিনের প্রথম সেশনে প্রোটিয়া স্পিনার কেশব মাহারাজের ঘূর্ণিতে নাস্তানাবুদ বাংলাদেশের ব্যাটাররা।

মাত্র ১৩ ওভার ব্যাট করতেই হারিয়েছে শেষ সাত উইকেট। আর এই সাত ব্যাটারকে প্যাভিলিয়নে ফেরাতে মূখ্য ভূমিকা পালন করেন কেশভ মাহারাজ ও সিমন হার্মার। অন্য কোনো বোলারকে আর বোলিং নিয়ে আসেননি প্রোটিয়া দলনেতা ডেন এলগার।

মুশফিকুর রহিমের বিদায়ের মাধ্যমে শেষ দিনের উইকেটের পতন শুরু হয়। মাহারাজের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন মুশি। পরের ব্যাটসম্যান লিটন দাস ফেরেন মিড অনে দাঁড়িয়ে থাকা মাহারেজের হাতে সাদামাটা ক্যাচ তুলে দিয়ে। ৬ বলে ২ রান করে তিনি।

একমাত্র ছাড়া ব্যাট হাতে দাঁড়াতেই পারেননি কেউ। ইনিংস সর্বোচ্চ ২৬ রান করেন নাজমুল হাসান শান্ত। এছাড়া ১৪ রানের ইনিংস খেলেন তাসকিন আহমেদ। আর ৫ রানে ইয়াসির রাব্বি, শূন্যরানে মিরাজ এবং কোনো রান না করেই আউট হন খালেদ আহমেদ। ৬ বলে কোনো রান না করে অপরাজিত থাকেন ইবাদত হোসেন।

দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে সর্বোচ্চ ছয়টি উইকেট পেয়েছেন কেশভ মাহারাজ। বাকি তিনটি উইকেট নেন সিমোন হার্মার। আর দুই ইনিংসে ৭টি উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন মাহারাজ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com