শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫, ০৬:২৪ অপরাহ্ন

জুনে উল্কাবৃষ্টির আশঙ্কা গবেষকদের!

বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিবেদক::

১১০ বছর আগ সাইবেরিয়ার তুঙ্গুস্কারে যেমন ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়েছিল ঠিক তেমনি বিস্ফোরণ হতে যাচ্ছে আবার। বিজ্ঞানীদের ধারণা আগামী বছর জুনে এ বিস্ফোরণ হতে পারে।

গবেষকদের ধারণা, এই মহাজাগতিক বস্তুর বিস্ফোরণের ভরে যেতে পারে ৮০০ বর্গমাইল এলাকার আকাশ।

আমেরিকার লস অ্যালামস ন্যাশনাল ল্যাবরেটরির পদার্থবিজ্ঞানী মার্ক বসলাফ ও অন্টারিওর ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডনের পদার্থবিদ পিটার ব্রাউন এমনটাই জানিয়েছেন।

তারা বলেন, আগামী জুনে একটি দৈত্যাকার অ্যাস্টারয়েড বা গ্রহাণু পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ঢুকে পড়বে। তারপর বায়ুমণ্ডলের সঙ্গে সংঘর্ষে তা ফাটবে ভয়ঙ্কর শব্দে। গবেষণাপত্রটি এই মাসে ওয়াশিংটনে আমেরিকান জিওফিজিক্যাল ইউনিয়নের বৈঠকে পেশ করা হয়েছে।

গবেষকরা জানিয়েছেন, আগামী বছরের জুনে যে উল্কাবৃষ্টি হবে, তাতে তুঙ্গুস্কার ঘটনার মতোই কোনও দৈত্যাকার মহাজাগতিক বস্তু থাকবে নাকি তার আকার হবে তার চেয়েও বেশি, তা নিয়ে তাদের পর্যবেক্ষণ ও হিসাবনিকাশ এখনও চলছে।

ঠিক এমনটাই হয়েছিল আজ থেকে ১১০ বছর আগে। ১৯০৮-এর ৩০ জুন। ওই দিন সাইবেরিয়ার তুঙ্গুস্কার আকাশে আচমকাই একটি দৈত্যাকার মহাজাগতিক বস্তু ফেটেছিল ভয়ঙ্কর শব্দে। যার ঝলকানিতে পুড়ে ছারখার হয়ে গিয়েছিল তুঙ্গুস্কা (নদীর নামে এলাকার নাম) আর তার আশপাশের ৮০০ বর্গ মাইল এলাকার সব গাছপালা। থরথর করে কেঁপে উঠেছিল একটি বিশাল এলাকা। জনবসতিহীন এলাকায় ওই ঘটনায় অবশ্য কোনও প্রাণহানি হয়নি। তবে ওই বিস্ফোরণের কারণ এখনও জানা যায়নি। বিজ্ঞানীরা বুঝে উঠতে পারেননি, কোনও ধূমকেতু নাকি কোনও গ্রহাণু এসে ঢুকে পড়েছিল সে দিন পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে, যার ফলে ঘটেছিল ওই ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ।

কেউ কেউ বলেছিলেন, সেটা আদতে ছিল খুব বড় ধরনের উল্কাবৃষ্টির ঘটনা। যার নাম ‘বিটা টরিড’ উল্কাবৃষ্টি। ‘টরিড’ উল্কাবৃষ্টি সাধারণত বছরে দু’বার হয়। জুনের শেষে আর অক্টোবরের শেষ বা নভেম্বরের গোড়ার দিকে। এদের মধ্যে যে উল্কাবৃষ্টি হয় জুনের শেষে, তাকে বলা হয় ‘বিটা টরিড’ উল্কাবৃষ্টি। এগুলো রাতে হয় না। হয় দিনের আলোয়। যখন সূর্যের আলোয় অন্য নক্ষত্রদের আলো ঢাকা পড়ে যায়।

গবেষকদের ধারণা, আগামী জুনের উল্কাবৃষ্টির মধ্যে যতটা বড় চেহারার মহাজাগতিক বস্তু থাকার সম্ভাবনা রয়েছে, ১৯৭৫ সালের পর তত বড় চেহারার কোনও মহাজাগতিক বস্তু পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ঢুকে পড়েনি। ১৯৭৫-এর সেই ঘটনার ফলে ভূকম্পন হয়েছিল, তা চাঁদে বসানো সাইসমোমিটারে ধরা পড়েছিল বলে জানিয়েছিলেন ‘অ্যাপোলো’ মহাকাশযানের অভিযাত্রীরা।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com