রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫, ০৭:২৪ পূর্বাহ্ন
আবু জাফর, কেরানীগঞ্জ থেকে:: কেরানীগঞ্জের অন্যতম বিদ্যাপীঠ জিনজিরা স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ ড. আবু বকর ছিদ্দিক ও পরিচালনা কমিটির সভাপতি ম.ই. মামুনের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানটির কয়েক কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (১৪ আগস্ট) সকালে স্কুল ও কলেজ শাখার কয়েকশ ছাত্র এমন অভিযোগ এনে তাদের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ করেছে। এসময় শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষ ও সভাপতির নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি তুলে ধরেন।
তারা বলেন, স্কুলের সভাপতি ম.ই. মামুন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর একান্ত সহকারী ছিলেন। ফলে তিনি আর অধ্যক্ষ মিলে স্কুলের ফান্ড ও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নানা অযুহাত তোলা কোটি কোটি আত্মসাৎ করেছেন। এছাড়াও তারা পাঁচজন শিক্ষক ও একজন কর্মচারীকে অন্যায়ভাবে চাকুরী থেকে বরখাস্ত করেছেন। আবার বিধিবহির্ভূতভাবে একজন সহকারী শিক্ষক ও অফিস সহকারী নিয়োগ দিয়েছেন যারা তার আত্মীয়। জেনারেটর ও এসির নামে প্রতি মাসে তিনি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করেন কিন্তু তার অফিস ছাড়া কোথায়ও এসি ও জেনারেটর সার্ভিস নেই। টাইম স্কেল বা উচ্চতর গ্রেডের জন্য সকল শিক্ষকের ফাইল ছয় মাস থেকে এক বছর ঘুরান। অতিরিক্ত ক্লাসের নামে দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে হাজার হাজার টাকা উত্তোলন করেন তারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষক এ প্রতিবেদকের কাছে অধ্যক্ষ ও সভাপতির অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়গুলো স্বীকার করেন। তারা বলেন, দুজন মিলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিকে ধ্বংসের দারপ্রান্তে নিয়ে গেছেন। মামুন সভাপতি হওয়ায় তার বোন নেহার আফরোজকেও সহকারী শিক্ষকের চাকরি দিয়েছেন। স্কুল ও কলেজ শাখা মিলিয়ে ছাত্র প্রায় ২৭০০। বছরের শুরুতে ভর্তির সময় লাখ লাখ টাকা নেয়া হয়। দীর্ঘ বছর ধরে এসব টাকা ফান্ডে না দিয়ে তারা আত্মসাৎ করেছেন।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অধ্যক্ষ আবু বকর ছিদ্দিক। এদিকে সরকার পতনের কারনে গা ঢাকা দিয়েছেন আ’লীগ নেতা স্কুলের সভাপতি ম.ই. মামুন। তার মোবাইলও বন্ধ পাওয়া যায়৷
কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবু রিয়াদ বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। এবিষয়ে তদন্ত করা হবে। তদন্তের পর আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নেব।