মঙ্গলবার, ০৫ অগাস্ট ২০২৫, ০২:২৭ পূর্বাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক, একুশের কণ্ঠ:: অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর সর্বশেষ হামলায় একদিনে প্রাণ হারিয়েছেন আরও অন্তত ১১৯ জন ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছেন আরও ৮৬৬ জন। এ নিয়ে ২০২৩ সালের অক্টোবরে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০ হাজার ৮৩৯ জনে।
রোববার (৩ আগস্ট) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে এই তথ্য জানায় তুরস্কভিত্তিক সংবাদ সংস্থা আনাদোলু।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় গাজার বিভিন্ন হাসপাতাল ও চিকিৎসাকেন্দ্রে ১১৯টি মৃতদেহ পৌঁছেছে এবং আহত হয়েছেন ৮৬৬ জন। আহতের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৪৯ হাজার ৫৮৮ জনে।
এছাড়া ২৯০টি মৃতদেহ শনাক্ত ও নিবন্ধনের পর নতুন করে মৃতের সংখ্যা হালনাগাদ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, এখনো বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন, যাদের এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে মানবিক সহায়তা সংগ্রহ করতে গিয়েও প্রাণ হারাচ্ছেন বহু ফিলিস্তিনি। গতকাল পর্যন্ত এই ধরনের ঘটনায় ৬৫ জন নিহত এবং ৫১১ জন আহত হয়েছেন। অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ত্রাণ নিতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১ হাজার ৪৮৭ জন এবং আহত হয়েছেন ১০ হাজার ৫৭৮ জন।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠন হামাস ইসরায়েলি ভূখণ্ডে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি নিহত হন এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায় হামাস যোদ্ধারা।
এর পর থেকেই গাজায় ব্যাপক সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। প্রায় ১৫ মাসব্যাপী চলা এ অভিযানে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় দেখা দেয়।
যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয় ২০২৪ সালের ১৯ জানুয়ারি, মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর চাপের মুখে। তবে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ১৮ মার্চ থেকে ফের হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী (আইডিএফ)। এরপর থেকে আবারও প্রাণ হারিয়েছেন ৯ হাজার ৩৫০ জন এবং আহত হয়েছেন ৩৭ হাজার ৫৪৭ জন।
এদিকে ইসরায়েলের এই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বিচার কার্যক্রম চলমান। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে।
এছাড়া গাজায় গণহত্যার অভিযোগে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতেও (আইসিজে) মামলা চলছে।