বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫, ১২:৩৯ অপরাহ্ন
গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি::
রংপুরের গঙ্গাচড়ায় এক ১৫ বছরের কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার দৈহিক মিলনের অভিযোগ পাওয়া গেছে এক লম্পটের বিরুদ্ধে। একাধিকবার দৈহিক মিলনের ফলে ওই কিশোরী বর্তমানে ৫ মাসের অন্ত:সত্ত্বা। এ ঘটনায় কিশোরীর মা বাদী হয়ে গত ৮মে ওই লম্পটের বিরুদ্ধে রংপুরের আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।
অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার মর্ণেয়া ইউনিয়নের চৌদ্দমাথা পাইকারটারী গ্রামের ফজলুল হকের পুত্র কাঠ ব্যবসায়ী লেবু মিয়া (৪০)। সে এলাকায় নারী লোভী ও টাউট প্রকৃতির লোক। বিভিন্ন প্রভাবশালীর ছত্র ছায়ায় সে নানা রকম অপকর্ম করেও থাকে ধরা ছোয়ার বাইরে। লেবু প্রায় দের বছর আগে তার পার্শ্ববর্তী একই ইউনিয়নের নিলারপাড়া গ্রামের ভূমিহীন হতদরিদ্র এক মহিলাকে ইউনিয়ন পরিষদের আওতায় বিভিন্ন কাজের প্রলোভন দেখিয়ে তার সাথে ধর্ম ভাই বোনের সম্পর্ক গড়ে তোলে। সে সুবাদে লেবু মিয়া প্রায়ই ওই মহিলার বাড়িতে অবাধে যাতায়াত করত। যাওয়া আসার এক পর্যায়ে লেবুর কু-দৃষ্টি পরে তার ধর্ম বোনের নাবালিকা মেয়ের উপর। মেয়েটির মায়ের অনুপস্থিতিতে লেবু মিয়া মেয়েটিকে বিয়ে করাসহ নানা প্রলোভন দেখিয়ে প্রায় ১ বছর থেকে দৈহিক মিলন করে। ফলে মেয়েটি অন্ত:সত্ত্বা হয়ে পরে। গত ২৬ এপ্রিল মেয়ের শারীরিক পরিবর্তন দেখে তার মা জিজ্ঞেস করলে সে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে লেবুর সাথে দৈহিক মিলনের কথা জানায়। পরে মেয়েটির মা গত ২৮ এপ্রিল লেবু মিয়াকে তার বাড়িতে ডেকে ওই এলাকার বেশকিছু লোকের সামনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মেয়েটিকে তার বিয়ে করা সম্ভব না বলে কিছু টাকা নিয়ে মেয়েটির গর্ভের সন্তান নষ্ট করতে বলে।
কিশোরী ও তার মা সাংবাদিকদের বলেন, মর্ণেয়া ইউ.পি সদস্য শরিফুল ইসলামসহ লেবুর লোকজন আমাদের ২০ হাজার টাকা নিয়ে গর্ভের সন্তান নষ্ট করার জন্য নানা রকম হুমকি ধামকি দিচ্ছে। এ বিষয়ে ইউ.পি সদস্য শরিফুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করেন। অভিযুক্ত লেবু মিয়া বলেন আমি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার স্বীকার। এলাকার একটি কু-চক্রী মহল আমার সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য অপচেষ্টা করছে।