বুধবার, ০৬ অগাস্ট ২০২৫, ১০:৩০ অপরাহ্ন
দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি : বেসরকারী টেলিভিশন চ্যানেল ২৪ এর কুষ্টিয়ার ষ্টাফ রিপোর্টার শরীফ বিশ্বাস, ক্যামেরাপার্সন এসআই সুমন ও বিদ্যুৎ হোসেন নামে ৩ সাংবাদিকের উপর সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছে। এ সময় তাদের ব্যবহৃত ক্যামেরা ভাংচুর করা হয়। থানায় মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ ২জনকে আটক করেছে।
বৃহস্পতিবার বেলা ২টার দিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়নের সিরাজনগরে পেশাগত দ্বায়িত্ব পালনকালে সন্ত্রাসীরা হামলা তাদের উপর হামলা চালায়। সাংবাদিকেদের দেশিয় অস্ত্রসহ লাঠি দিয়ে তাদের শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করা হয়। এ সময় প্রায় আড়াই ঘন্টা অবরুদ্ধ থাকার পর স্থানীয়দের সহায়তায় আহত ৩ সাংবাদিককে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য দৌলতপুর হাসপাতালে নেয়া হয়।
আহত সাংবাদিক ও স্থানীয়রা জানান, দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর গ্রামের আবুল কাসেমের দ্বিতীয় পুত্র কামাল হোসেন নিজের ব্যাক্তিগত তথ্য গোপন করে চাচা আহসানুণ হাবীব মোল্লাকে বাবা সাজিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কৌটায় এডমিন ক্যাডারে চাকরী পান।
বর্তমানে তিনি ইউএনও হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। চাচাকে বাবা সাজিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কৌটায় চাকরী পাওয়ার এমন তথ্য পেয়ে প্রতিবেদনের জন্য সরেজমিন খোজখবর নিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে চ্যানেল ২৪ এর কুষ্টিয়ার ষ্টাফ রিপোর্টার শরীফ বিশ্বাস তার ক্যামেরাপার্সন সুমন ও স্থানীয় সাংবাদিক বিদ্যুৎ হোসেনকে সাথে নিয়ে কামাল হোসেনের নিজ গ্রাম সিরাজনগরে যায়।
সাংবাদিকদের তথ্য সংগ্রহের বিষয়টি জানতে পেরে আহসান হাবীব মোল্লার ছেলে বাচ্চুর নেতৃত্বে ১২ জন সন্ত্রাসী তাদের উপর চড়াও হয়। কেউ কিছু বুঝে উঠার আগেই লাঠিসোঠা দিয়ে ওই ৩ সাংবাদিকেকে বেধড়ক মারপিটসহ তাদের কাছে থাকা ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে ভাংচুর করে।
এ সময় প্রায় আড়াই ঘন্টা তাদের অবরুদ্ধ করে রাখার পর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তারা মুক্ত হয়। পরে স্থানীয় সাংবাদিকরা তাদের দৌলতপুর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। কর্তব্যরত অবস্থায় সাংবাদিক শরীফ বিশ্বাসসহ ৩ সাংবাদিকের উপর বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন স্থানীয় সাংবাদিকসহ বিভিন্ন সংবাদিক সংগঠন। অবিলম্বে এ হামলার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান সাংবাদিকরা।
আহত সাংবাদিক শরীফ বিশ্বাস বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সন্ত্রাসীরা তাদের উপর হামলা চালিয়েছে। তাদের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কাঠের চলা ও লাঠি দিয়ে পেটানো হয়। ক্যামেরা ভাংচুর করে তাদের অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। স্থান্যীয় হাসপাতালে চিকিৎসার পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দৌলতপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি দুঃখজনক। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি এবং এজাহারে তালিকাভুক্ত দু’জনকে গ্রেফতার করেছি তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।