শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:৪৫ অপরাহ্ন

কালিয়াকৈরে ভুমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানীসহ নানা অভিযোগ

কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি::

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে এক ভুমি উপ-সহকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ওই অফিসের এক নারী উমেদারকে শ্লীলতাহানীর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ওই ভুমি অফিসসহ স্থানীয় জনতার মধ্যে নানা গুঞ্জন ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগও।

ভুক্তভোগী উমেদার ও ভুমি অফিস সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার শ্রীফলতলী ইউনিয়ন ভুমি অফিসের ভুমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা আব্দুল বাসেদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে। ওই ভুমি অফিসে কয়েকজন উমেদার রয়েছে। এদের মধ্যে একজন নারী উমেদার। ওই নারী উমেদারকে দীর্ঘদিন ধরে নানা কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছেন ওই কর্মকর্তা। এতে রাজি না হলে তিনি ওই নারী উমেদারের উপর সব সময় ক্ষিপ্ত থাকতেন। গত ১ অক্টোবর ভুমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা আব্দুল বাছেদ ৩ ও ৪ নং ভলিয়াম নিয়ে ওই নারী উমেদারকে তার কক্ষে ডেকে পাঠান। তার কথা মতো ওইদিন বিকেল ৪টার দিকে দুটি ভলিয়াম নিয়ে তার কক্ষে যান ওই নারী উমেদার। কিন্তু সুযোগ বুঝে তার স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয় ওই কর্মকর্তা আব্দুল বাছেদ। এসময় যৌন নির্যাতনের চেষ্টা চালালে জুড়াজুড়ির এক পর্যায় নারী উমেদার মুখে আঘাত পান। তার মুখোমন্ডলে রক্ত ঝড়তে থাকে এবং তিনি চিৎকার করে উঠেন। ডাক-চিৎকার শুনে ওই ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তা মাসুদুল আলম ভুঞা ছুটে গেলে আব্দুল বাছেদ তার কক্ষ থেকে দৌড়ে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় ওই নারী উমেদার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেন। এর আগেও পূর্বের কর্মস্থলে নারী কেলেংকারীর কারণে তাকে বদলি করে শ্রীফলতলী ইউনিয়ন ভুমি অফিসে সংযোগ করা হয়। এছাড়াও তার আরো একাধিক নারী কেলেংকারী থাকার অভিযোগ বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদের পাহাড় সৃষ্টি করারও অভিযোগ রয়েছে। এসব ঘটনায় ওই ভুমি অফিসসহ স্থানীয় জনতার মধ্যে নানা গুঞ্জন ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

অভিযুক্ত শ্রীফলতলী ইউনিয়ন ভুমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা আব্দুল বাছেদ বলেন, “ওই ভলিয়াম নিয়ে এলে তাকে বসানো জন্য চেষ্টা করলে তার মুখে আমার আঙ্গুলের আছড় লাগে। তবে যৌন হয়রানীর অভিযোগটি মিথ্যা ও ষড়যন্ত্র মুলক। এছাড়া কিছু সম্পত্তি আছে, সেগুলো আমার বউয়ের। সেখানে আমারও কিছু সহযোগীতা আছে।
শ্রীফলতলী ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তা মাসুদল আলম ভুঞা জানান, হঠাৎ করে ভুমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা আব্দুল বাছেদ কক্ষ থেকে ওই নারী উমেদারের কান্নার শব্দ পাই। পরে সেখানে গেলে তিনি কক্ষ থেকে দৌড়ে পালিয়ে যান। এসময় ওই নারী উমেদারের মুখোমন্ডলে রক্ত দেখতে পাই। বিষয়টি ইউএনও স্যার ও এডিল্যান্ড স্যারকে জানানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইসতিয়াক আহ্মেদ জানান, যেটাই হোক তিনি তো একজন ভদ্র মহিলার গায়ে হাত দিতে পারেন না। এ কারণে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের (রাজস্ব) কাছে লিখিত দেওয়া হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com