শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২:০১ অপরাহ্ন

কালিয়াকৈরে পুলিশিং দাপটে হামলা, মা-ছেলে-মামাসহ আহত ১৫

কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি::

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কোটামনি এলাকায় রোববার রাতে পুলিশিং দাপটে দুই দফায় হামলা চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলার ঘটনায় মা-ছেলে-মামাসহ উভয়পক্ষের ১৫ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে দুজন গুরুতর। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।

আহতরা হলেন, উপজেলার কোটামনি এলাকার মৃত শাসসুল খানের স্ত্রী মালেকা, তাদের মেঝু ছেলে মোস্তফা খান, ছোট ছেলে মজনু খান, মজনুর চাচাত বোনের স্বামী নাহিদ হোসেন, মজনুর তিন মামা ছানোয়ার খান, আনোয়ার খান, জামির খান এবং অপর পক্ষের মোরশেদ খান, তার স্ত্রী কহিনুর বেগম ও তার ছেলে রুবেল খান, স্থানীয় মাসুদ রানা, মোল্লাসহ উভয়পক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন।

এলাকাবাসী ও আহতদের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ৪/৫ মাস আগে উপজেলার কোটামনি এলাকার মোরশেদ খানের ছেলে রুবেল খানের সঙ্গে পাশের বাড়ির আব্দুল হকের ৭ম শ্রেনীতে পড়ুয়া মেয়ে আকলিমা আক্তারের বিয়ে হয়। রুবেল পুলিশে চাকরিরত অবস্থায় বাল্য বিবাহ করায় তাকে নিয়ে নানা সমালোচনা করে এলাকাবাসী। কিন্তু বিয়ের কিছু দিন পরেই তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলোহ চলে আসছে। এ বিষয় নিয়ে রোববার রাত ১০টার দিকে রুবেলের বাড়িতে দুই পরিবারের মধ্যে এক সমঝোতার বৈঠক বসে। রুবেল ছুটি নিলেও তার বড় ভাই পুলিশ নুর মোহাম্মদ ছুটিবিহীন ওই বৈঠকে হাজির হন। ওই পারিবারিক বৈঠকে কথা কাটা-কাটির এক পর্যায় তারা দুই পুলিশ ভাই ও তাদের পরিবারের লোকজন পুলিশিং দাপটে হামলা চালায়। হামলার ১ম দফায় মজনু খান, তার মেঝু ভাই মোস্তফা খান, তাদের মা মালেকা, তার চাচাত বোনের স্বামী নাহিদ হোসেন এবং পুলিশ রুবেলে তার বাবা মোরশেদ খান, তার মা কহিনুর বেগম আহত হন। খবর পেয়ে পাশের ডাকুরাইল এলাকা থেকে মজনুর মামা বাড়ির লোকজন এলে পুলিশিং দাপটে তারা ২য় দফায় হামলা চালিয়ে মজনুর তিন মামা ছানোয়ার খান সেন্টা, আনোয়ার খান, জামির খান আহত হন। দু-দফায় হামলার ঘটনায় মা-ছেলে-মামা এবং স্থানীয় মাসুদ রানা, মোল্লাসহ উভয় পক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে ৫ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং গুরুতর দুজনকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকী আহতদের উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছে এলাকাবাসী।

আহত মজনু ও তার চাচা রুবেলের শ্বশুর আব্দুল হক বলেন, কিছুদিন আগে আকলিমার সাথে পুলিশ সদস্য রুবেলের বিয়ে হয়। এরপর থেকে রুবেল তার উপর অত্যাচার করে আসছে। এ বিষয় নিয়ে ওইদিন রাতে রুবেলের বাড়িতে এক বৈঠক বসে। এ সময় পুলিশ দুই ভাই রুবেল ও নুর মোহাম্মদসহ তার পরিবারের সদস্য হামলা চালায়।

রুবেলের ভাই পুলিশ সদস্য নুর মোহাম্মদ মুঠোফোনে জানান, ওইদিন রাতে আমাদের বাড়িতে পারিবারিক বৈঠক শেষে বাইরে বের হলে মজনু গ্রুপ হামলা করে। এতে বাবা মোরশেদ খান, মা কহিনুর বেগম ও ছোট ভাই পুলিশ সদস্য রুবেল আহত হন। তবে আমি ছিলাম না।

কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন মজুমদার জানান, মারামারি খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। ওই ঘটনায় রুবেল খানের পক্ষ থানায় একটি অভিযোগ জমা দিয়েছেন। অপর পক্ষ এখনো থানায় আসেনি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com