রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫, ০৬:৩৩ পূর্বাহ্ন
মাদারীপুর প্রতিনিধি॥ পবিত্র শীল নামের গ্রাম চিকিৎসক ৫ম শ্রেনীর মাদরাসা ছাত্রী ধর্ষন চেষ্টা ও মেরে ফেলার হুমকিতে পড়ালেখা বন্ধ করে দিবে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কয়ারিয়া ইউনিয়নে। পবিত্র শীল সে ইউনিয়নের মৃত প্রফুল্য শীল এর ছেলে।
অভিযোগ ও সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, পবিত্র শীল নামের পল্লি চিকিৎসক মোল্লার হাটবাজারে মুক্তা মেডিকেল হল নামের ফার্মেসি দিয়ে নিজে ডাক্তারী করেন। প্রত্যেক দিন তার ফার্মেসির সামনে দিয়ে মাদ্রাসা ও স্কুল ছাত্র, ছাত্রী যাতায়াত করে। এই সুবাদে ওই ছাত্রীকে আংকেল বলে ডেকে তাকে সিভিট দিয়ে গাল টান দিলে ওই মেয়ে চলে যায়। এর এক সপ্তাহ পরে মাদ্রাসা থেকে দুপুর বেলা বাড়ী ফেরার সময় টিপ টিপ বৃষ্টি হচ্ছিল এ সময় পবিত্র আবার আংকেল বলে ডাক দিলে সে ডাকে সারা না দিয়ে চলে যাচ্ছিল।
এ সময় তাকে জোড় করে দোকানের পিছনের ঘরে নিয়ে যায় এবং চিৎকার দিতে নিষেধ করে চিৎকার দিলে মেরে ফেলবে। পরে দোকানের দরজা বন্ধ করে দেয়। পিছনের রুমে রাখা চোকিতে নিয়ে জোরা জরি করে এতে বাধা দিলে তাকে মারধোর করে এবং বলে এ কথা কাউকে বল্লে মেরে ফেলবো ও বলবো তোদের কাছে আমি ২২ হাজার টাকা পাব এই বলে সবার কাছে নালিশ দিয়ে অপমান করবো।
স্থানীয়রা বলেন, এই লোক এর আগেও কয়েক বার মেয়ে লোক নিয়ে ধরা পরেছিল তার দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল আজ আবার সে দোকান বন্ধ করে পালিয়েছে। মেয়ের মা বলেন, আমার মেয়ে বাড়ীতে এসে অসুস্থ হয়ে পড়ে শরীরে জ্বর আসে, আমি মনে করেছিলাম বৃষ্টিতেভিজে তাই জ্বর এসেছে। জ্বর ভাল হলেও মেয়ে আর মাদ্রাসার যেতে চাচ্ছে না এর জন্য তাকে মারধোর করলে সে বলে আমি আর মাদ্রাসায় যাব না কেন যাবানা সে বলে পবিত্র ডাক্তার তাকে মারধোর করেছে ও ধর্ষনের চেষ্টা করেছে এবং তাকে মেরে ফেলবে তাই সে আর মাদ্রাসায় যেতে চায় না। ওই মাদ্রাসা ছাত্রী বলেন, আমি এই পশুর বিচার চাই সে আমার অনেক ক্ষতি করেছে আমি আর মাদরাসায় যেতে পাড়ছি না পড়ালেখা করতে পাড়ছি না আমার পড়ালেখা এখন বন্ধ। মাদ্রাসার প্রধান বলেন, সে অনেক দিন ধরে মাদ্রাসায় আসে না শুনেছি সে অসুস্থ কিন্তু এখন যা শুনলাম এতে করে ওই লোকতো পশু তার বিচার চাই।
স্থানীয় মাতুব্বর হুমায়ুন মোল্লা বলেন, আমি এ ব্যাপারটা শুনেছি, আমি অসুস্থ তাই কোন ব্যবস্থা নিতে পারি নাই সে যে খারাপ তা আমি যানি সে আগেও অনেক ঘটনা ঘটিয়েছে। অভিযুক্ত পবিত্র শীল বলেন, আমার বিরুদ্ধে এসব স্বরযন্ত্র আমি এক জনের বিরুদ্ধে ইউনিয়ন নির্বাচন করেছিলাম তাই তারা মিলে এসব করাচ্ছেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন দেব বলেন, আমি সরেজমিনে গিয়েছিলাম থানায় অভিযোগ হয়েছে আমরা ব্যাবস্থা নিচ্ছি।