রবিবার, ০৩ অগাস্ট ২০২৫, ১১:১১ অপরাহ্ন
মাদারীপুর প্রতিনিধি:: মাদারীপুরের কালকিনিতে জহিরুল ইসলাম সরদার (১৬) নামের এক স্কুল ছাত্রের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এই হত্যাকান্ড জমি-জমা না পরকিয়ার বলি তা নিয়ে ভাবছে পুলিশ ও এলাকাবাসি।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার সময় নিজ ঘর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। জহিরুল ইসলামর সরদার কালকিনি উপজেলার পূর্ব এনায়েতনগর ইউনিয়নের মহরদ্দিরচর গ্রামের কাতার প্রবাসী বারেক সরদারের ছেলে। সে সমিতিরহাট মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
আত্মীয়-স্বজন ও এলাকাবাসি জানান, জহুরুল ইসলামের বাবা বারেক সরদার বছর খানেক আগে বাড়ির পাশের একটি ফসলি জমি ক্রয় করেন। একই জমি একই এলাকার মন্নান হাওলাদার ও খালেক হাওলাদার ক্রয় করেন। সপ্তাহ খানেক আগে নিহত জহিরুল বাবার কেনা জমিতে বাধ দিয়ে বালু ভরাট করতে গেলে মন্নান হাওলাদার ও খালেক হাওলাদার তাদের বাধা প্রদান করেন এবং মেরে ফেলার হুমকি ধামকি দেন। গতকাল বিকেলে গোপনে খালেক হাওলাদারের স্ত্রী নিহতর বাড়ি ঘুড়ে গিয়ে আলাপ আলোচনা করে রাতে ঘড়ের গেটের তালা ভেঙ্গে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে বলে দাবি নিহতের পরিবারের। এ ঘটনার সাথে সাথে মন্নান হাওলাদার ও খালেক হাওলাদারের হদিস মিলছে না এলাকায়।
আপরদিকে পাড়ার মানুষরা জানান, নিহতের মায়ের চরিত্র বেশি ভালনা মাঝে মাঝে পর পুরুষের সাথে অপ্রিতিকর অবস্থায় ধড়া পড়ে। এ নিয়ে গ্রামে কয়েকবার ঝগড়া ঝাটি হয়েছে। নিহত জহির গতকাল রাতে অপ্রিতিকর কিছু দেখে ফেলায় খুন হতে পারেন বলে ধারনা তাদের।
সরেজমিনে জানা যায়, জহিরুল ইসলাম সরদার একটি তিন রুমের বিল্ডিংয়ের এক রুমে থাকতো। প্রতিদিনের মতো রাতে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে যায়। সকালে তার কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে তার মা কহিনুর বেগম ডাকাডাকি করলে জহিরুলের ঘুম না ভাংলে শরীরের উপরের সরালে মৃতদেহ দেখতে পায়। পরে স্থানীরা পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে। জহিরুলের গলায় কোপ রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলায় কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মাদারীপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল ওয়াসিম রেজা বলেন, আমরা কয়েকটি দিক নিয়ে তদন্ত করে দেখছি, দ্রুত দোষিকে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে পারবো।