বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫, ০৯:৩২ পূর্বাহ্ন

করোনা পরিস্থিতি: চট্টগ্রামে যুক্তরাজ্য ও দক্ষিণ আফ্রিকার ধরন শনাক্ত

চট্টগ্রাম ব্যুরোঃ করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে চট্টগ্রামে যুক্তরাজ্য ধরনের আধিক্য পেয়েছেন গবেষকরা। এছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকার ধরনেরও উপস্থিতি পেয়েছেন চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) একদল গবেষক। তবে ভারতীয় ধরন পাওয়া যায়নি চট্টগ্রামের কোনো নমুনায়।

চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশের সার্বিক নির্দেশনায় সিভাসুর অধ্যাপক ড. পরিতোষ কুমার বিশ্বাস, অধ্যাপক ড. শারমিন চৌধুরী, ডা. ইফতেখার আহমেদ রানা, ডা. ত্রিদীপ দাশ, ডা. প্রাণেশ দত্ত, ডা. মো. সিরাজুল ইসলাম ও ডা. তানভীর আহমদ নিজামী করোনা আক্রান্ত রোগীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি মূল্যায়ন বিষয়ে একটি গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। এই গবেষণা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে করোনাভাইরাসের পূর্ণাঙ্গ জিনোম সিকুয়েন্স বা জীবন রহস্য উন্মোচন করতে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসাআইআর), ঢাকায় ১০টি নমুনা পাঠানো হয়। এরপর বিসিএসআইআর-এর দুজন গবেষক ড. মো. সেলিম খান ও ড. মো. মোরশেদ হাসান সরকার এ গবেষণায় অংশ নেন।

সোমবার (৩ মে) সিভাসু থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় গত ২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে ১০ জন ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষা করে জিনোম সিকোয়েন্স করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির গবেষকরা।

গবেষণার ফলাফলে দেখা যায়, ১০টি নমুনার ৬টিতেই যুক্তরাজ্য ধরন (B.1.1.7) ও তিনটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার ধরনের (B.1.351) উপস্থিতি পাওয়া গেছে। আর একটিতে অস্ট্রেলিয়া, সুইজারল্যান্ড ধরন (B.1.1.142) পাওয়া গেছে। তবে কোনো নমুনাতেই ভারতীয় ধরন (B.1.617) এর উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। বিভিন্ন বয়সের আক্রান্ত রোগী থেকে নমুনাগুলো সংগ্রহ করা হয়েছিল। এর মধ্যে পাঁচজন রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে হয়েছিল।

গবেষণাটি মূলত চট্টগ্রাম কেন্দ্রিক করা হয়েছে। ১০টি নমুনা বিশ্লেষণে দেখা যায়, করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে চট্টগ্রাম অঞ্চলে ৫ এপ্রিলের আগ পর্যন্ত সম্ভবত যুক্তরাজ্যের ধরনের আধিক্য ছিল। যদিও একই সময়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ধরনও ছিল।

চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ বলেন, আরও বেশি নমুনা থেকে ভাইরাসের জিনোম সিকুয়েন্স করলে প্রকৃত চিত্র অধিক পরিষ্কার হতো। এই ১০টি নমুনার জিনোম সিকুয়েন্সের তথ্য পাবলিক ডাটাবেজ GISAID-এ জমা দেওয়া হয়েছে। এর আগে করোনাভাইরাসের প্রথম ঢেউয়ে সিভাসুর উদ্যোগে আটটি নমুনা থেকে ভাইরাসের জিনোম সিকুয়েন্স করা হয়েছিল।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com