শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫, ০৭:২৫ অপরাহ্ন
রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি:: গ্রাম্য কবিরাজের চিকিৎসার বলি হতে চলছে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার কাতিহার মাধবপুর গ্রামে এক অসহায় প্রতিবন্দী। দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লিভারের সমস্যা নিয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে। খরচ যোগানোও সম্ভব হচ্ছেনা পরিবারের পক্ষে।
শুক্রবার (১৯ মে) সরেজমিনে গেলে প্রতিবন্দীর ভাই শামসুল হক জানান, মাসখানের পূর্বে ঘন প্রসাবের যন্ত্রনায় স্থানীয় কবিরাজ মামলুতের নিকট আমার অন্ধ প্রতিবন্দী ভাই আমিরুল ইসলাম (৩৮) কবিরাজি ঔষুধ খায়। এর পর হতে তার পেট ফুলতে থাকে বর্তমানে চিকিৎসার জন্য দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
সেখানকার মেডিসিন বিভাগের কর্তব্যরত চিকিকিৎসক ডাঃ ফজলে এলাহী জানান, ভুল কবিরাজি চিকিৎসার কারণে আমিরুলের পেট ফুলা, লিভার ফুলা ও পেটের নারীগুলির পচন ধরেছে।
প্রতিবেশি জাকির হোসেন বলেন, আমাদের কাতিহার বাজারে কবিরাজের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। সামান্য গাছ গাছালি দিয়েই তারা নগদে টাকা পাচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
আমিরুলের চিকিৎসা প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে কবিরাজ মামলুত জানায় ঘন প্রসাবের কারণে তাকে হরতোকি, বহরা ও বেলের চাম খাওয়ানো হয়েছিল। তাছাড়া আমিতো এত বড় কবিরাজ নই। অন্যের কাছে ওষুধ নিয়ে ছামে কুটে রোগীদের ওষুধ দেই। আমার কোন সরকারী বৈধ্য লাইসেন্স নেই শহরের বকুল কবিরাজ আমার গুরু।
এ প্রসঙ্গে রাণীশংকৈল হাসপাতালের আরএমও ডাঃ ফিরোজ আলম বলেন, কবিরাজদের কোন চিকিৎসার বৈধ্যতা থাকেনা, তারা মুখের উপর চলে। তাছাড়া হরতোকি, বহরা ও বেলের চাম এক সাথে খেলে কিডনি ও লিভারের সমস্যা হতে পারে। গ্রাম্য কবিরাজদের ভুল চিকিৎসার জন্য তাদের আইনের আওতায় আনা উচিৎ।