বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:০১ অপরাহ্ন
স্পোর্টস রিপোর্টার, ই-কণ্ঠটোয়েন্টি২৪ডটকম ॥ এ বারই প্রথম নয়। এর আগে পাঁচ বার প্রথম ম্যাচে হেরে বিশ্বকাপ শুরু করেছে আর্জেন্টিনা। তার মধ্যে এক বার তারা ফাইনালেও উঠেছে। দিয়েগো মারাদোনার মতো ফুটবলার থাকা সত্ত্বেও হেরেছে তারা। সৌদি আরবের বিরুদ্ধে লজ্জার হার আর্জেন্টিনার। এই প্রথম নয়। এর আগেও একাধিক বার বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে হেরে শুরু করেছে আর্জেন্টিনা। তার মধ্যে এক বার তারা উঠেছে ফাইনালেও।
তবে সৌদি আরবের মতো ফিফা ক্রমতালিকায় এত নীচে থাকা প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে হার যে আর্জেন্টিনার আত্মবিশ্বাসে অনেকটা ধাক্কা দেবে, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
১৯৩০ সালে প্রথম বিশ্বকাপে রানার্স হয়েছিল আর্জেন্টিনা। তার পরে ১৯৩৪ বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই সুইডেনের কাছে ২-৩ হেরে বিদায় নেয় তারা। সে বার শুরু থেকেই নকআউটে খেলা হয়। আর্জেন্টিনা হারে প্রথম ম্যাচেই। এর পর ১৯৫০ এবং ১৯৬৪ সালে আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি। ১৯৫৮ সালেও প্রথম ম্যাচেই হেরে যায় তারা। পশ্চিম জার্মানির কাছে ১-৩ গোলে হারে তারা। ১৯৭৪ সালে প্রথম ম্যাচে পোল্যান্ডের কাছে ২-৩ গোলে হারে আর্জেন্টিনা। এর পর ১৯৮২ বিশ্বকাপে তারা প্রথম ম্যাচে বেলজিয়ামের কাছে ০-১ ব্যবধানে হারে।
১৯৮৬ সালে দিয়েগো মারাদোনার সৌজন্যে বিশ্বকাপ জিতেছিল আর্জেন্টিনা। ১৯৯০ সালে ট্রফিজয়ের দাবিদার হিসাবে নেমেছিল আর্জেন্টিনা। কিন্তু সে বার ক্যামেরুনের কাছে প্রথম ম্যাচে ০-১ গোলে হারে আর্জেন্টিনা। কিন্তু সেই হারের ধাক্কা সামলে একের পর এক শক্তিশালী প্রতিপক্ষকে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছে যান মারাদোনারা। কিন্তু পশ্চিম জার্মানির কাছে ফাইনালে হারতে হয়, যে ম্যাচকে অনেকেই মনে করেন জোর করে হারানো হয়েছিল আর্জেন্টিনাকে। সেই শেষ বার বিশ্বকাপে হারে আর্জেন্টিনা। গত বার তারা প্রথম ম্যাচে ড্র করেছিল আইসল্যান্ডের বিপক্ষে। এ বার আবার হারতে হল নীল-সাদা জার্সিধারীদের। মেসিরা কি এ বার প্রয়াত মারাদোনার থেকে অনুপ্রেরণা নেবেন?
আমরা সমস্ত মাঠে রাজত্ব করব।’ ম্যাচ রিপোর্ট লিখতে গিয়ে বারবার মনে হচ্ছিল একনাগাড়ে ঢাক, ঢোল পিটিয়ে যাওয়া ওই পাগল সমর্থকরা শুধুই কি লিওনেল মেসির জন্য এসেছেন! নাকি তাঁরা কাতারে এসেছেন তাঁদের ‘ফুটবল দেবতা’ দিয়েগো মারাদোনার বিশেষ বার্তা নিয়ে। কিন্তু সেই উৎসব, উচ্ছ্বাসে লাভ হল না। কারণ গ্যালারিতে থাকা সমর্থকরা তো আর মাঠে নেমে ফুটবল খেলেন না। ৯০ মিনিটের যুদ্ধে পারফর্ম করতে হয় ফুটবলারদের। মেসিরা না পারলে অঘটন তো ঘটবেই।
অতিরিক্ত সময়ে গোললাইন সেভ করেন সৌদির ফুটবলার। শেষ রক্ষা করতে পারল না আর্জেন্টিয়া। শেষ পর্যন্ত হেরে মাঠ ছাড়তে হয় মেসিদের।