সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫, ০৩:৪৫ অপরাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক, একুশের কণ্ঠ:: ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ইউক্রেনকে আর কখনোই আপসে বাধ্য করা যাবে না। তিনি বলেন, তার দেশ আর কখনোই আপসের নামে কোনো চাপের মুখে পড়বে না। এছাড়া ইউক্রেন তার স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছে এবং ইউক্রেন ভিক্ষা চায় না বরং প্রস্তাব দেয় বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে কূটনৈতিক উদ্যোগ চলার মধ্যেই প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি একথা বললেন।
রোববার (২৪ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
পূর্ব ইউরোপের এই দেশটির স্বাধীনতা দিবসে দেওয়া ভিডিও ভাষণে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেন, ইতিহাসে আর কখনোই ইউক্রেনকে সেই লজ্জা সহ্য করতে হবে না, যেটাকে রাশিয়ানরা ‘আপস’ বলে ডাকে। আমাদের প্রয়োজন ন্যায্য শান্তি। আমাদের ভবিষ্যৎ আমরা নিজেরাই নির্ধারণ করব। বিশ্ব তা জানে এবং সম্মানও করে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ স্বীকার করছে যে কিয়েভ এখনো পুরোপুরি জয়ী হয়নি, তবে রাশিয়ার দাবি অনুযায়ী ইউক্রেন কোনোভাবেই পরাজিতও হয়নি।
তিনি বলেন, ইউক্রেন তার স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছে। ইউক্রেন কোনো ভুক্তভোগী নয়, বরং একটি যোদ্ধা। ইউক্রেন ভিক্ষা চায় না, বরং প্রস্তাব দেয়। আমরা টেকসই, নির্ভরযোগ্য ও দীর্ঘস্থায়ী শান্তি অর্জন করব, কারণ আমরা শক্তিশালী নিরাপত্তা নিশ্চয়তা পাচ্ছি। এটি শুধু আমাদের লক্ষ্য নয় এটি আমাদের সন্তান-নাতি-নাতনিদের জন্য রেখে যাওয়া উত্তরাধিকার: শক্তিশালী ইউক্রেন, সমান মর্যাদার ইউক্রেন, ইউরোপীয় ইউক্রেন, স্বাধীন ইউক্রেন।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার দ্বিতীয় মেয়াদ শুরুর পর থেকেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। গত ১৫ আগস্ট আলাস্কায় ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের পর সেই প্রচেষ্টা এগিয়েছে। পরে হোয়াইট হাউসে ওভাল অফিসে ট্রাম্প, জেলেনস্কি এবং ইউরোপীয় নেতাদের মধ্যে বৈঠক হয়।
এমন সময়ে কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি রোববার কিয়েভে পৌঁছান দেশটির স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে যোগ দিতে। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে আলাদা হওয়ার পর পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে কানাডাই প্রথম দেশ ছিল, যারা ইউক্রেনকে স্বীকৃতি দিয়েছিল।
কার্নি এক বিবৃতিতে বলেন, ইউক্রেনের স্বাধীনতা দিবসে এবং তাদের ইতিহাসের এই সংকটময় মুহূর্তে কানাডা ইউক্রেনের প্রতি সহায়তা ও ন্যায্য ও দীর্ঘস্থায়ী শান্তির প্রচেষ্টা আরও জোরদার করছে। পরে এক ভিডিও বার্তায় তিনি ইউক্রেনের প্রতি কানাডার সমর্থনকে অটল হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, আপনারা যখন সার্বভৌমত্ব রক্ষার লড়াই করছেন এবং আপনার স্বপ্ন পূরণের পথে এগোচ্ছেন, কানাডা প্রতিটি পদক্ষেপে আপনাদের পাশে আছে।