সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:১৩ অপরাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক, একুশের কণ্ঠ:: আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলে ৬.০ মাত্রার ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬২২ জনে। এসময় আহত হয়েছে সহস্রাধিক মানুষ।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) তালেবান সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভূমিকম্পে বহু ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।
এছাড়া বেশ কিছু বাড়ি ‘ধ্বংসস্তূপের নিচে’ চাপা পড়েছে। কয়েকটি গ্রাম সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। ফলে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
তালেবান সরকারের সূত্র বলছে,দুর্গম এলাকা হওয়ায় সঠিক হিসাব দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ছে। তাই কর্মকর্তারা উচ্চ সংখ্যক হতাহতের আশঙ্কা করছেন এবং বিস্তারিত তথ্যের অপেক্ষায় রয়েছেন।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, উপকেন্দ্রের কাছাকাছি ভূমিধসে কিছু এলাকা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ফলে ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ মূল্যায়নে দীর্ঘ সময় লাগবে।
ভূমিকম্পটি তুলনামূলকভাবে অগভীর ছিল। মাত্র ৮ কিলোমিটার (৬ মাইল) গভীরতায়। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএসের তথ্য অনুযায়ী, স্থানীয় সময় রবিবার (৩১ আগস্ট) রাত ১১টা ৪৭ মিনিটে ভূমিকম্পটি পাকিস্তান সীমান্ত সংলগ্ন পার্বত্য প্রদেশ কুনারে আঘাত হানে।
ওই ভূমিকম্পের পর রাতেই নানগারহার ও কুনার প্রদেশে অন্তত ১৩টি পরাঘাত অনুভূত হওয়ার কথা বিবিসিকে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
ভূমিকম্পের পর উদ্ধার অভিযান চলছে। তবে ভূমিকম্পের পর দুর্গম পার্বত্য এলাকায় অনেক জায়গায় ভূমিধসে সড়ক বন্ধ হয়ে গেছে। এতে ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধারকাজ। আকাশপথে উদ্ধার অভিযান চালাতে সহায়তা দিতে সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক সহায়তা সংগঠনগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তালেবান সরকারের কর্মকর্তারা।
ভূমিকম্পের উপকেন্দ্র ছিল নানগারহার প্রদেশের জালালাবাদ শহর থেকে প্রায় ১৭ মাইল (২৭ কিলোমিটার) দূরে। জালালাবাদ আফগানিস্তানের পঞ্চম বৃহত্তম শহর।
এই ভূমিকম্প লাঘমান প্রদেশেও প্রভাব ফেলেছে। উপকেন্দ্র থেকে প্রায় ১৪০ কিলোমিটার (৮৭ মাইল) দূরে অবস্থিত রাজধানী কাবুলেও আফটার শক অনুভূত হয়েছে। এমনকি প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দূরে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদেও কম্পন অনুভূত হয়েছে।