বৃহস্পতিবার, ০৭ অগাস্ট ২০২৫, ১১:০৯ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক:: প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়ে ডেইলি স্টার ও আজকের পত্রিকাকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।
গতকাল বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সভাপতি এস এম ফরহাদ প্রেরিত দুটি পৃথক প্রতিবাদ লিপিতে এ আহ্বান জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, প্রক্টরিয়াল আদেশ অমান্য করে ঢাবিতে কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে শিবির’ শীর্ষক শিরোনামে The Daily Star পত্রিকার বাংলা ও ইংরেজি সংস্করণে বুধবার বিকেলে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। ওই প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও বিভ্রান্তিকর। আমরা বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা, এই অসত্য ও বানোয়াট প্রতিবেদনের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।
প্রতিবাদে আরও বলা হয়েছে, প্রথমত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় ছাত্রশিবির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ৩৬ জুলাই; আমরা থামব না’ শীর্ষক আয়োজনে যেসব কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে তার লিখিত অনুমতি সার্বিক নীতিমালা অনুসরণ করে অনুষ্ঠানের আগেই নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অনুষ্ঠান চলাকালীন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কিছু নির্দিষ্ট বিষয়ে অনুরোধ করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক শান্তি ও শৃঙ্খলা রক্ষার্থে সেই নির্দেশনাও সুষ্ঠুভাবে অনুসরণ করা হয়েছে। এই অনুষ্ঠান ছিল শান্তিপূর্ণ এবং গঠনমূলক। প্রক্টর অফিস বা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদের কার্যক্রম স্থগিত করার বিষয়ে কোনো লিখিত বা আনুষ্ঠানিক নির্দেশনা আমাদের নিকট প্রদান করা হয়নি। অতএব, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করার প্রশ্নই উঠে না।
এই ধরনের মিথ্যা ও পক্ষপাতদুষ্ট রিপোর্ট প্রকাশের মাধ্যমে পত্রিকাগুলো কেবল একটি স্বনামধন্য সংগঠনের সুনাম ক্ষুণ্ণই করেনি, বরং সাংবাদিকতার ন্যূনতম নৈতিকতাকেও উপেক্ষা করেছে। আমরা আশা করি, সংশ্লিষ্ট পত্রিকাগুলো এই বিষয়ে তদন্ত করে প্রকৃত তথ্য তুলে ধরবে এবং প্রকাশিত ভ্রান্ত সংবাদ প্রত্যাহার করে যথাযথভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করবে, প্রতিবাদ লিপিতে বলা হয়েছে।
অপর এক প্রতিবাদ লিপিতে বলা হয়েছে, ঢাবিতে প্রক্টরিয়াল নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে শিবিরের কর্মসূচি’ এই শিরোনামে আজকের পত্রিকা একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও বিভ্রান্তিকর। আমরা, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা, এই অসত্য ও বানোয়াট প্রতিবেদনের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।
এতে আরও বলা হয়েছে, এই ধরনের মিথ্যা ও পক্ষপাতদুষ্ট রিপোর্ট প্রকাশের মাধ্যমে পত্রিকাগুলো কেবল একটি স্বনামধন্য সংগঠনের সুনাম ক্ষুণ্ণই করেনি, বরং সাংবাদিকতার ন্যূনতম নৈতিকতাকেও উপেক্ষা করেছে। আমরা আশা করি, সংশ্লিষ্ট পত্রিকাগুলো এই বিষয়ে তদন্ত করে প্রকৃত তথ্য তুলে ধরবে এবং প্রকাশিত ভ্রান্ত সংবাদ প্রত্যাহার করে যথাযথভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করবে।