সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫, ০৯:৫৪ অপরাহ্ন

অসময়ে বৃষ্টিপাত: রাণীশংকৈলে বিভিন্ন ইটভাটায় কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি

dav

রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি:: ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলায় গত বৃহস্পতিবার রাতে হঠাৎ বৃষ্টিপাত শুরু হয়ে শনিবার রাত পর্যন্ত বৃষ্টির প্রভাবে উপজেলার বিভিন্ন ইটভাটায় কাঁচা ইট ভিজে প্রায় তিন কোটি টাকার ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে বলে দাবী ভাটা মালিকদের।

জানা গেছে, ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে ২৮টি ইটভাটা রয়েছে। এ ইটভাটাগুলোতে পুরোদমে নতুন ইট উৎপাদনের কাজ চলছিল। অসময়ে হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হলে এর প্রভাবে প্রত্যেকটি ইটভাটা মালিকদের কম বেশি সকলেই ক্ষতির শিকার হয়েছে। হঠাৎ বৃষ্টিপাতে নতুন তৈরি কাঁচা ইট অপসারণ করতে পারেননি তারা। শনিবার রাত পর্যন্ত থেমে থেমে বৃষ্টি হওয়ায় ভেঙ্গে চুরে যায় লক্ষ লক্ষ ইট। রবিবার সকালে সরেজমিনে কিছু ইট ভাটায় গিয়ে চোখে পরে এমন দৃশ্য।

রাণীশংকৈলএলাকায় অবস্থিত মাহি ব্রিক্স, এম বি বি ব্রিক্স ইট ভাটার মালিক পক্ষে মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান, আহমেদ হোসেন বিপ্লব জানান, উপজেলার ২৮টি ইট ভাটা চলমান রয়েছে। অসময়ের বৃষ্টিতে তাদের ইট ভাটায় প্রায় ১ কোটি ৫৫ লক্ষ নতুন তৈরি কাঁচা ইট নষ্ট হয়েছে। এই ইটগুলো পোড়াতে পারলে তা থেকে প্রায় হাজার কোটি টাকা বিক্রি করা যেত। তিনি আরো বলেন, এ মাটি পুনরায় ব্যবহার করা সম্ভব হলেও, ইটগুলো তৈরীতে শ্রমিকদের টাকা দিতে হয়েছে, আবার অপসারণ করতে ও নতুন করে তৈরি করতে অতিরিক্ত টাকা ব্যয় হচ্ছে। এতে করে ভাটা মালিকদের বড় অংকের টাকা লোকসানে পড়তে হচ্ছে।

সন্ধ্যারই জি এইচ ডি ইটভাটা মালিক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আমার এলাকায় একটি ইটের ভাটা রয়েছে। বৃষ্টিতে আমার ইটভাটায় প্রায় ৭ লক্ষ কাঁচা ইট নষ্ট হয়েছে। ইটগুলোর বাজার মূল্য প্রায় ৬ কোটি টাকা।

এ বিষয়ে কয়েকটি ইট ভাটা মালিকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মৌসুমের মাঝামাঝি সময়ে অনাকাঙ্খিত বৃষ্টির কারণে তাদের অনেক লোকসান হয়েছে। এ বৃষ্টির কারনে নতুন ইট তৈরি বন্ধ রয়েছে। শ্রমিকেরাও আপাতত কয়েক দিন বেকার হয়ে বসে থাকবে। এদিকে কয়লার মূল্য বৃদ্ধি, বিরুপ আবহাওয়া ও বৃষ্টিপাতের কারণে ইট ভাটা মালিকরা অর্থনৈতিক বড় ক্ষতির সম্মুখিন হওয়ায় তা কাটিয়ে ওঠা অনেকের পক্ষেই কষ্টকর হয়ে পরবে বলে জানান ইট ভাটা মালিক পক্ষ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com