বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫, ১২:৪৫ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক:: বিশ্ববাজারে নিজস্ব ব্র্যান্ড সৃষ্টি করতে ব্যবসায়ীদের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিশ্বে নতুন বাজার সৃষ্টি হচ্ছে। কোন দেশে কোন পণ্যের চাহিদা বেশি আমাদের সেগুলো খুঁজে বের করতে হবে। তাদের চাহিদা অনুযায়ী পণ্য উৎপাদন করে সেসব দেশে রফতানি বাজার সৃষ্টি করতে হবে। প্রত্যেকটি দূতাবাসকে নির্দেশ দিয়েছি অর্থনৈতিক কূটনীতি বৃদ্ধি করতে।
শনিবার (১ জানুয়ারি) গণভবন থেকে পূর্বাচলের ‘বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে’ ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে প্রযুক্তির যুগ, বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের দিকে। সেদিকে লক্ষ্য রেখে দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে হবে। আমরা ইতিমধ্যে সেদিকে পদক্ষেপ নিয়েছি। আমরা যেন কোনভাবেই পিছিয়ে না থাকি সেদিকে লক্ষ্য রাখছি।
তিনি বলেন, একটি দেশ অর্থনৈতিকভাবে উন্নতি করতে পারে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটিয়ে। আমরা বিশেষভাবে দৃষ্টি দিচ্ছি এবং সেইভাবে পদক্ষেপ নিচ্ছি। রফতানি বাণিজ্যের জন্য আমাদের পণ্য উৎপাদন বহুমুখীকরণ করতে হবে।
খাদ্য পণ্যের চাহিদা বিভিন্ন দেশে বৃদ্ধি পাচ্ছে এটা কখনো কমবে না। আবার আমাদের নিজের দেশেও বাজার সৃষ্টি হচ্ছে। কাজেই কৃষি পণ্য উৎপাদন প্রক্রিয়াজাতকরণ খাদ্য পণ্য উৎপাদন প্রক্রিয়াজাতকরণে গুরুত্ব দিতে হবে। রফতানি করার জন্য নতুন জায়গা ও দেশ টার্গেট করতে হবে তাদের চাহিদা জানতে হবে বলে জানান সরকার প্রধান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনার মধ্যে বহুদেশ অর্থনীতিতে ভীষণভাবে সমস্যায় পড়েছে। তবে বাংলাদেশ তার ধীর পদক্ষেপের কারণে এগিয়ে গেছে। আমরা প্রত্যেকটি দূতাবাসকে নির্দেশ দিয়েছি অর্থনৈতিক কূটনীতি বৃদ্ধি করতে। তারা সেভাবে কাজ করছে। গবেষণাকে আমি সব থেকে বেশি গুরুত্ব দেই। ব্যবসা বাণিজ্যে গবেষণা দরকার, পণ্যের মান ঠিক রাখতে গবেষণার প্রয়োজন। গবেষণা করে ভালো পণ্য উৎপাদন করতে পারলে তা বিশ্ববাজারে রফতানি বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। ক্রেতাদের আস্থা অর্জন করা যাবে সহজেই।
তিনি বলেন, আমরা সরকারে এসে প্রতিটি পণ্য বেসরকারিভাবে উন্মুক্ত করে দেই। এমনকি মোবাইল ফোন বেসরকারিভাবে উন্মুক্ত করে দেই। কম্পিউটার শিক্ষা দেওয়া ও ব্যবহারের উদ্যোগ আমরা নিয়েছিলাম। আমাদের দেশটা যেন শিল্প-বাণিজ্যে এগিয়ে যেতে পারে, উৎপাদন বাড়াতে পারে, সে জন্যই এই সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
এসময় প্রধানমন্ত্রী আইসিটি পণ্য সেবাকে বর্ষপণ্য-২০২২ ঘোষণা করে বলেন, রফতানি নীতি অনুযায়ী প্রতিবছর একটি পণ্যকে বর্ষপণ্য বা প্রোডাক্ট অব দ্য ইয়ার ঘোষণা করি। এবার আইসিটি পণ্য বা সেবাকে বর্ষপণ্য ২০২২ ঘোষণা করছি।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সির সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য দেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ ও এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি জসিম উদ্দিন।