বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫, ০২:১৭ পূর্বাহ্ন
রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি::
বিগত ৩৩ বছরের দূর্ভোগ অবশেষে অবসান হতে যাচ্ছে ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈল উপজেলার হোসেগাঁও-লেহেম্বা ইউনিয়নের প্রায় দশটি গ্রামের মানুষের। রাউতনগর বাজার ও রসুনপুর, বিরাশি, ব্রহ্মপুরসহ দশটি গ্রামের প্রায় অর্ধলাখ মানুষের রাউতনগর বাজারে আসার কুলিক নদীর উপর থাকা ভাঙা সেতুটির নতুন করে নির্মাণ প্রক্রিয়া কাজ শুরু হতে চলছে।
সেতু নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় স্থানীয় যুবক মিটুন হাসান আলী, ফিরোজ বলেন, ১৯৮৬ সালে রাউতনগর-রসুনপুর গ্রামের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া কুলিক নদীর উপর বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়ানে সুইসগেট কাম সেতু নির্মাণ হয়। পরে ১৯৮৭ সালের বন্যায় এটি ভেঙে যায়। সেতু ভেঙে যাওয়ায় রসুনপুরসহ আশপাশের প্রায় দশটি গ্রামের মানুষের রাউতনগর বাজারে আসতে চরম সমস্যায় পড়তে হয়। এছাড়াও স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের চরম বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। কৃষকরাও তাদের আবাদকৃত মালামাল বাজারে নিয়ে আসতে বিড়ম্বনায় পড়তো। বর্ষার সময় স্থানীয় উদ্যোগে নৌকা ও সাঁকো নির্মাণ করে চলতো পারাপার। আর খড়া মৌসুমে পানি বেয়ে সকলকেই পারপার হতে হয়। সেতুটি নির্মাণ হলে দূর্ভোগের অবসান হবে জানিয়ে তারা স্থানীয় সাংসদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
উপজেলা এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এর সদর দপ্তরের নির্দেশনায় ভাঙা সেতুটির জায়গায় আবারো নতুন করে সেতু নির্মাণের লক্ষ্যে মাটি পরীক্ষার কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। মাটি পরীক্ষার টিম প্রায় মাসখানেকের মত সেখানে অবস্থান করে মাটি পরীক্ষার কাজ করে একটি প্রতিবেদন তৈরী করে সদর দপ্তরে জমা দেবে।
এলজিইডি উপসহকারী মাসুদুল রহমান জানান, সেতুটির পরিবেশগত বিশ্লেষণ পরীক্ষা ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। মাটি পরীক্ষার পরেই সেতুটির ডিজাইন হবে। এর পর টেন্ডার হলেই নিয়ম অনুযায়ী কাজ শুরু হবে। সেতুটি ১২০ মিটার দৈর্ঘ্য নির্মাণ করার প্রস্তাবনা রয়েছে।
৪নং লেহেম্বা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মাহবুব আলম মুঠোফোনে বলেন, সেতুটি নির্মাণের অনুমোদন ইতিমধ্যে হয়েছে। বর্তমানে মাটি পরীক্ষার কাজ চলছে, শেষ হলেই টেন্ডার হবে এবং নির্মাণ কাজ শুরু হবে। বিরাশি স্কুলের শিক্ষক সাবু বলেন, সেতুটি হলে আমাদের স্কুলের ছাত্র ছাত্রীদের অনেক সুবিধা পাবেন ।