বৃহস্পতিবার, ০৭ অগাস্ট ২০২৫, ১১:২৮ অপরাহ্ন
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ করোনা সংক্রমণের ভয়াবহতার মধ্যেও সরকারের বিধি-নিষেধ উপেক্ষা করে কোনো ধরনের অনুমোদন না নিয়ে সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে গরু-ছাগলের হাট লাগাচ্ছেন পৌরসভার মেয়র। পৌর এলাকার ব্যস্ততম রাস্তার পাশে এ হাট চালু হলে জনদুর্ভোগ সৃষ্টির আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
কাজিপুর পৌরসভার মেয়র আব্দুল হান্নানের নির্দেশে সোমবার (২৮ জুন) সকাল থেকেই আলমপুর-সোনামুখী আঞ্চলিক সড়কের হেলিপ্যাড সংলগ্ন এলাকায় রাস্তার পাশেই এ হাট লাগানোর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে, জনগুরুত্বপূর্ণ এ এলাকায় হাট লাগানোর বিষয় নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাহিদ হাসান সিদ্দিকী।
জানা যায়, গত তিনদিন ধরেই পৌর মেয়রের নামে আলমপুর হেলিপ্যাডের পাশে গরু-ছাগলের হাট লাগানোর জন্য মাইকিং করা হচ্ছে। আলমপুর-সোনামুখী সড়কটি উপজেলার অন্যতম ব্যস্ত সড়ক। এ সড়কের নিচে অল্প কিছু জমির ওপর সোমবার সকাল থেকে হাটের সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এনিয়ে জনদুর্ভোগের পাশাপাশি করোনা আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয়রা।
কাজিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পঞ্চানন্দ সরকার জানান, তারা পশুর হাটের জন্য কোনো আবেদন করেনি। হাটের মাইকিং শুনে পুলিশকে তদন্ত করে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য বলেছিলেন ইউএনও জাহিদ হাসান সিদ্দিকী। পরে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে।
ইউএনও জাহিদ হাসান সিদ্দিকী জানান, ওই স্থানটিতে পশুর হাট করলে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হবে। এছাড়াও করোনার পরিস্থিতি ভালো না। এ অবস্থার মধ্যে দায়িত্বশীল পদে থেকে কী করে গরুর হাট লাগানোর চেষ্টা করছেন সেটা বোধগম্য নয়। এই হাটের পারিপার্শ্বিক অবস্থা সম্পর্কে জেলা প্রশাসক (ডিসি) বরাবর চিঠি দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে নির্দেশ এলে, সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবো।
এদিকে গরুর হাট লাগানোর বিষয়টি স্বীকার করে পৌর মেয়র আব্দুল হান্নান বলেন, পৌরসভার কীভাবে আয় বাড়িয়ে কর্মচারীদের বেতন নিশ্চিত করা যায় সে বিষয়টি মাথায় রেখে একটি পশুর হাট লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। জেলা প্রশাসক (ডিসি) বরাবর আবেদনও করা হয়েছে। তিনদিন ধরে মাইকিংও করা হয়েছে। হাটটি উদ্বোধন করাও হয়েছে। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে হাট বন্ধ থাকবে।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোবারক হোসেন বলেন, অনুমোদন ছাড়া কোনো পশুর হাট চলতে পারে না। বিষয়টি আমরা খোঁজ নিয়ে দেখছি।